সংক্ষিপ্ত

  • দেশ জুড়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
  • রাজধানী দিল্লিতে বাড়তে পারে লকডাউন
  • চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল
  • বিশেষ বৈঠকে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত

করোনায় বিধ্বস্ত গোটা দেশ। প্রায় প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। দিল্লির অবস্থাও তথৈবচ। এই পরিস্থিতিতে রাজধানী দিল্লিতে বাড়তে পারে লকডাউন। এমন সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। দিল্লিতে লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হবে কিনা, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রবিবারই বিশেষ বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাঁর। 

শনিবার কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন রাজধানীতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৮৫০৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত তিন মাসের মধ্যে এই প্রথম ১০ হাজারের কম মানুষ করোনা আক্রান্ত হলেন।  আক্রান্তের সংখ্যা কম হওয়ায় কিছুটা আশার আলো দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেছেন রাজ্যে পজেটিভ হওয়ার হার কমে দাঁড়িয়েছে ১১ শতাংশে। 

তবে সতর্কতা থাকছে। রবিবার সকালেই গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসতে চলেছেন কেজরিওয়াল। এই বৈঠকে লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেজরিওয়াল আগেই জানিয়ে ছিলেন করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য তৈরি হচ্ছে দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রকে পাশে থাকার অনুরোধ করেন কেজরিওয়াল। কেন্দ্রের কাছ থেকে আরও ভ্যাকসিন পাঠানোর আবেদন করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। 

কেজরিওয়াল বলেন, দিল্লিতে অক্সিজেন বিশিষ্ট শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দিল্লি। দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিন ২৮ হাজার মানুষ দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। সেই বিপুল সংখ্যার রোগিকে যাতে সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।  

দিল্লিতে ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে কেজরিওয়াল বলেন রাজ্যে এখন তিন থেকে চার দিনের মতো ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে। যা যথেষ্ট নয়। কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন, যেন আরও ভ্যাকসিন পাঠানো হয়। এক মাসের ভ্যাকসিন মজুত থাকলে, তবেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সাথে মোকাবিলা সম্ভব।