সংক্ষিপ্ত

  • কাল, শনিবার থেকে ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা
  • কেজরিওয়াল বললেন, কাল ভ্যাকসিনের জন্য লাইন দেবেন না
  • কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন-এই দুটির প্রত্যেকটির ৬৭ লক্ষ ভ্যাকসিন ডোজ পাবে দিল্লি সরকার
  • আগামী দু একদিনের মধ্যে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে আশায় কেজরিওয়াল

আগামিকাল, সামনে কটা দিন ভ্যাকসিনের লাইনে দিল্লিবাসীকে দাঁড়াতে নিষেধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আগামিকাল, শনিবার পয়লা মে থেকে দেশের সব সাবালক নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে দেশজুড়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই সবাই এমন কঠিন সময় ভ্য়াকসিন নিয়ে সুরক্ষিত হতে চাইবেন। কাল, শনিবার থেকে দেশের ১৮-৪৪ বছর বয়সী সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা। আর সবার ভ্য়াকসিন নেওয়ার এই উৎসাহে করোনা সংক্রমণের ভয় থাকবে, ভয় থাকবে বড় অশান্তির। তবে রাজ্যগুলির কাছে কত ভ্য়াকসিন আছে, বা কবে আসবে তা নিয়ে এখনও ধারনা মানুষের কাছে সেভাবে নেই। 

আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের টিকা কেনার অর্থ কোথায় পাবে দরিদ্ররা, দামের বৈষম্য নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে

কোভিড বিপর্যয়ে দিল্লির ছবিটাই সবচেয়ে করুণ দেখাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই দিল্লিবাসীর মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার উৎসাহ ব্যাপক। এই উৎসাহের গতি সামলাতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়ে দিলেন, আগামিকাল ও সামনের কয়েকটা দিন দয়া করে ভ্যাকসিনের লাইনে দাঁড়াবেন না। কিন্তু কেন? কেজরিওয়াল বলছেন, "এখনও আমাদের হাতে ভ্যাকসিন আসেনি। ভ্যাকসিন আমাদের কাছে এলেই আমরা আপনাদের কাছে জানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।"ভ্য়াকসিন কেন্দ্রগুলিতে তাই এখন লাইন দিয়ে লাভ হবে না বলেই জানিয়েছেন কেজরি। তবে দিল্লির সরকারে সঙ্গে দেশের দুই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক ও  সেরাম ইনস্টিটিউট- প্রত্যেকে ৬৭ লক্ষ ভ্যাকসিন ডোজ দেবে বলে জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হওয়া দোষের নয়, বলল সুপ্রিম কোর্ট

প্রসঙ্গত, কোউইন অ্যাপ তৃতীয় দফায় ভ্য়াকসিন নেওয়ার অনলাইন নথিভুক্তরণের যে উৎসাহ দেখা গিয়েছিল, তাতেই বোঝা যাচ্ছে আগামী ক'টা দিন দেশবাসীর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হতে চলেছে ভ্যাকসিন সেন্টারগুলি। তবে ভ্যাকসিন কবে আসবে তা এখনও জানা যাচ্ছে না।

কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, " ভ্যাকসিন উৎপাদক সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা চালাচ্ছি, যোগাযোগ রাখছি আমরা। তবে আমাদের কাছে এখনও ভ্যাকসিন আসছে না। জানি অনেকেই ভ্যাকসিনের জন্য আবেদন করেছেন, আশা করছি দু একদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবো।"শুধু দিল্লি নয় মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন রাজ্যে আগামিকাল থেকে ভ্য়াকসিন কর্মসূচি শুরু করতে পারবে কি না তা নিয়ে সম্পূর্ণ সংশয় আছে।