সংক্ষিপ্ত

  • দেশের করোনা পরিস্থিতি সংকট জনক
  • অক্সিজেন শয্যা নিয়ে অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় 
  • সংশ্লিষ্টকে হেনস্থা করা যাবে না 
  • মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট 

নাগরিকরা যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ও তাদের অভিযোগ জানায় তাহলে তাদের কোনও বাধা দেওয়া যাবে না। দেশে চলা করোনাভাইসার মামলার শুনানির সময়  এমনটাই বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য অক্সিজেন, শয্যা না পেয়ে কোনও নাগরিক যদি নেটমাধ্যমে কোনও অভিযোগ করে তাহলে সংশ্লিষ্ট নাগরিকের বিরুদ্ধে কোনও রাজ্য সরকারই দমনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না। যদি কোনও নাগরিককে হেনস্থা করা হয় তাহলে তা আদালতের অবমাননা হিসেবেই গন্য হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। 

করোনাভাইরাসের টিকা কেনার অর্থ কোথায় পাবে দরিদ্ররা, দামের বৈষম্য নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে... R

করোনাভাইরাসের সংকটের মধ্যেই চূড়ান্ত অব্যবস্থা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।সেই মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন , বিচারপতি এন নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চে। মামলার শুনানির সময় বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, 'এখন মানুষ গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। তাই একজন নাগরিক ও বিচারপতি হিসেবে এটা আমার কাছে খুবই চিন্তার বিষয়। কোনও নাগরিক যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযাগ জানান তাহলে তাঁকে যেন কোনও ভাবেই দমিয়ে রাখা না হয়। আমাদের উচিৎ সবার কথা শোনা। কেউ অক্সিজেন বা শয্যার না পেয়ে যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ জানায় তাহলে তাঁকে যদি হেনস্থারশিকার হতে হয় তাহলে তা আদালত অবমাননার সামিল।' তিনি আরও বলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও অভিযোগ জানান সঠিক নয় বলে ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। তথ্যের বিষয়ে কাউকে বাধা দেওয়া যেতে পারে না বলেও মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। 

মাত্র ১০ দিন আলাদা থাকুন, মৃদু বা উপসর্গ বিহীন করোনা রোগীদের সংশোধিত গাইড লাইন কেন্দ্রের ...

শুক্রবারের শুনানি সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, নাগরিকরা নেট মাধ্যমে যে সব অভিযোগগুলি করছেন তা মিথ্যা বলে ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরাও ঠিক মত পরিষেবা পাচ্ছেন না বলেও উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ধর্মীয় স্থান, হোটেলগুলিতে যাতে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করা যেতে পারে সেই পরামর্শও দিয়েছে শীর্ষ আদালত।একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছে যেসব নাগরিকদের নেট সংযোগ নেই বা যাঁরা লেখা পড়া জানেন না তাঁরা কীভাবে টিকার জন্য নাম নথিভুক্ত করবেন।