সংক্ষিপ্ত

করোনাভাইরাস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে এল বিরাট সাফল্য

অদৃশ্য থাকা করোনাভাইরাস-এর ছবি তুললেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

পুনের জাতীয় ভাইরোলজি ইনস্টিটিউট এই ছবি তুলেছে

নিরাময়ক ও প্রতিরোধক ওষুধ তৈরিতে এই ছবি কাজে লাগবে

 

করোনাভাইরাস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিরাট সাফল্য পেলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। পুনের জাতীয় ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ছবি তুললেন কোভিড-১৯ রোগ সৃষ্টিকারী সার্স-কোভ -২ ভাইরাস  বা সারা বিশ্ব এখন যাকে করোনাভাইরাস নামে চিনেছে সেই সংক্রামক ভাইরাসটির। কেরলের প্রথম করোনাভাইরাস রোগীর গলার লালারসের নমুনা থেকে এই আনুবিক্ষণিক দ্বিমাত্রিক ছবিটি তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার, ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইজেএমআর) এর সর্বশেষ সংস্করণে এই ছবিটি প্রকাশিত হয়েছে।

এই ছবি তোলার কাজ করেছে পুনের জাতীয় ভাইরোলজি কেন্দ্রের, ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপি অ্যান্ড প্য়াথোলজি বিভাগ। দেখা গিয়েছে, সার্স-কোভ-২ ভাইরাস-এর গঠন, ২০১২ সালে মধ্য প্রাচ্যে সংক্রামিত হওয়া মার্স-কোভ ভাইরাস এবং ২০০২ সালে ভয়াবহ আকার ধারণ সার্স-কোভ ভাইরাসের মতোই। আইসিএমআর-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর ডাক্তার নির্মলকুমার গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই তিনটি ভাইরাসই আসলে করোনাভাইরাস পরিবারের সদস্য। এদের দেখতে মুকুটের মতো। ল্য়াটিন ভাষায় 'করোনা' কথার অর্থ মুকুট। তার থেকেই এমনধারা নাম। কাজেই দেখতে এরা একরকম হবে সেটাই স্বাভাবিক।

এই হলো ভারতীয় বিজ্ঞানীদের তোলা সেই ছবি

তবে এই ছবিগুলি ক্লিনিকাল নমুনায় রূপান্তর স্টাডি করার জন্য এবং ভাইরাসটির জেনেটিক উৎস এবং বিবর্তন সনাক্তকরণের জন্য দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ, এই ছবি বুঝতে সাহায্য করবে যে ভাইরাসটি কীভাবে কোনও একসময় প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রামিত করেছিল, কীভাবে মানুষের থেকে মানুষে সংক্রমণ শুরু হয়েছিল, এবং তার জিনগত গঠনে কী কী পরিবর্তন ঘটেছে। এরফলে কোভিড-১৯ নিরাময়ক ও প্রতিরোধক দুই প্রকার ওষুধ তৈরিরর কাজেই দ্রুততা আসবে।

একদিন আগেই আইসিএমআর জানিয়েছিল, কোভিড -১৯ এর সম্ভাব্য ওষুধ বিকাশের জন্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওষুধ পরীক্ষায় অংশ নেবে ভারত। আইসিএমআর-এর ল্যাবগুলিতে ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট সূত্র পেতে অণু পুনর্বিবেচনার দিকে নজর দেওয়া হবে।