সংক্ষিপ্ত
করোনার টিকা (Coronavirus Vaccine) না নিলে প্রকাশ্যে আসাই যাবে না, কড়া নিয়ম জারি করল হরিয়ানা (Haryana)। ওমিক্রনের (Omicron) উত্থানে সব রাজ্যই যখন বিধিনিষেধ আরও কঠোর করছে ব্যতিক্রম একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)।
টিকা (Coronavirus Vaccine) না নিলে পাবলিক প্লেস ব্যবহার করা যাবে না। শুক্রবার, করোনাভাইরাস মহামারির (Coronacirus Pandemic) পুনরুত্থান ঠেকাতে ভারতের মধ্যে সবথেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করল হরিয়ানা (Haryana) সরকার। সাফ জানানো হয়েছে, টিকার দুটি ডোজ যারা নেননি, ১ জানুয়ারির থেকে তাদের জনসাধারণের এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ভারতে গত একমাস ধরে দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণ ১০০০০-এর নিচেই রয়েছে। তবে, এই মুহূর্তে করোনার ওমিক্রন (Omicron) ভেরিয়েন্টের প্রভাবে, ফের লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে নতুন সংক্রমণ। এরমধ্যে শুধু হরিয়ানা নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই করোনা বিধিনিষেধ বাড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্ষশেষের দিনগুলিতে করোনা পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, তার দিকে বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে। ব্যতিক্রম একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)।
এদিন কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে একটি নতুন আদেশ জারি করে, হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ (Anil Vij) বলেছেন ১ জানুয়ারির মধ্যে যারা যারা টিকার দুটি ডোজ নেবেন না, তাঁদের জনসাধারণের এলাকায় প্রবেশাধিকার থাকবে না। টিকা না নিলে, বিবাহের হল, হোটেল, ব্যাঙ্ক, শপিং মল, সরকারী অফিস, বাস পরিষেবা - কিছুই ব্যবহার করা যাবে না। মানুষকে আরও বেশি করে টিকা নিতে উৎসাহিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হল বলে জানিয়েছেন অনিল ভিজ। সেইসঙ্গে রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাজ্যে নাইট কারফিউ চালু করা হল। এখনও পর্যন্ত, হরিয়ানা রাজ্যে একমাত্র গুরুগ্রাম জেলাতেই জনসংখ্যার ১০০ শতাংশ ভ্যাকসিনের উভয় ডোজ পেয়েছেন।
হরিয়ানার পাশাপাশি এদিন কোভিড বিধিনিষেধ আরও কঠোর করেছে ওড়িশাও (Odisha)। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারির মধ্যে কোনও রকম জমসমাগম, পার্টি, মিছিল, নাচগান, ক্রিসমাস বা বর্ষবরণ উদযাপনের অনুষ্ঠান করা যাবে না। হোটেল, ক্লাব, রেস্তোরাঁ, পার্কগুলিতেও যাবতীয় উদযাপন বন্ধ রাখা হবে। গুজরাটেও (Gujarat) আহমেদাবাদ, ভাবনগর, ভদোদরা, সুরাট, রাজকোট, জামনগর, গান্ধীনগর এবং জুনাগর শহরে ২৫ ডিসেম্বর থেকে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ থাকবে। মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) এবং উত্তরপ্রদেশেও (Uttar Pradesh) ইতিমধ্যেই বছরের শেষ কয়েকটা দিনের জন্য নাইট কারফিউ জারি করা হয়েছে। একই পথে হেঁটেছে মহারাষ্ট্রও (Maharashtra)।
এর মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম পশ্চিমবঙ্গ। অন্যান্য রাজ্যে নতুন কোভিড-১৯ সংক্রমণ কমে যাওযার প্রেক্ষিতে নাইট কারফিউ তুলে দেওয়া হয়েছিল। বাংলায় অবশ্য সেই কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় থেকেই চলছে নাইট কারফিউ। তবে অদ্ভূতভাবে ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত নাইট কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। যেমনটা দূর্গাপূজা বা কালীপূজার সময় দেখা গিয়েছিল। উৎসবের কয়েকটা দিন অবাধে মেলামেশার পর বাংলার মানুষ ফের বিধিনিষেধ মানবেন নতুন বছরে। এরমধ্যে সংক্রমণ বেড়ে গেলে, প্রভু যীশুর শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া গতি নেই।