সংক্ষিপ্ত
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যা অনুযায়ী দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৮৩ জন আক্রান্তের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ রোগী সম্পূর্ণ উপসর্গবিধীন ছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) দেওযা তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার দেশে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫৮। আক্রান্তদের সম্পর্কে তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন এদেশে যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত তাঁদের অধিকাংশই উপসর্গ বিহীন বা স্বল্প উপসর্গ যুক্ত। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, দেশের ১৭টি রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১১৭ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যা অনুযায়ী দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৮৩ জন আক্রান্তের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ রোগী সম্পূর্ণ উপসর্গবিধীন ছিল। যার মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশের হালকা কোভিড-১৯ লক্ষ্ণ ছিল। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ওমিক্রন নিয়ে এখনও আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তাই এখনও পর্যন্ত কোনও স্থির সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি। তবে সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেরই সম্পূর্ণ টিকা দেওয়া হয়েছে। ১৮৩ জনকে চিহ্নিত করে তথ্য খতিয়ে দেখা হয়েছে। এদের মধ্যে ৯১ জন সম্পূর্ণরূপে টিকা পেয়েছেন। যার মধ্যে অনেকেই আবার তিনটি টিকার বুস্টার ডোজও নিয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৭০ শতাংশই উপসর্গবিহীন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬১ শতাংশ পুরুষ বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আক্রান্তদের ৪৪ জন ওমিক্রন আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছিল। আর ১৮ জন সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।
কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী দেশের ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ওমিক্রনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। যার মধ্যে মহারাষ্ট্রের আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। তথ্য পরিসংখ্যনে দেখা গেছে আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ৭ জানিয়েছেন তারা কোনও ওষুধ খায়নি। তার আগেই সুস্থ হয়ে গেছে। অন্যদিকে আক্রান্তদের মধ্যে ৭৩ জনের টিকার বিবরণ এখনও হাতে পায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ১৬ জানিয়েছে তারা টিকার ওকটিও ডোজ পাওয়ার যোগ্যতা আর্জন করেনি। অর্থাৎ এই আক্রান্তদের বয়স ১৮ বছরের কম।
এই ফলাফল বিশ্লেষণ করে আইসিএমআরএর প্রধান বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন ওমিক্রন কোনও গুরুত্ব ক্লিনিক্যাল রোগ বা লক্ষ্ণণ নয়। এটি দ্রুত সংক্রমণ ছড়ালেও দ্রুত সুস্থ হচ্ছে অনেকে। তাই করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে তাই দেওয়া হচ্ছে ওমিক্রন আক্রান্তদের। তবে ওমিক্রন সংক্রন থেকে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
CBIC Raid: বাড়ি ঠাসা রয়েছে কোটি কোটি টাকা, আলমারি খুলে চোখ কপালে উঠল তদন্তকারীদের
ওমিক্রন রুখতে কাপড়ের মাস্ক কতটা কার্যকর, সতর্ক করে কী বললেন বিশেষজ্ঞরা