সংক্ষিপ্ত
কেউ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা জানার জন্য জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে। কিন্তু, সেই সুবিধাও নেই শহরের সব প্রান্তে। আর এই পরিস্থিতিতেই এবার বাজারে আসতে চলেছে ওমিক্রন টেস্ট কিট। যার নাম দেওয়া হয়েছে 'ওমিসিওর'।
গোটা দেশেই ত্রাস হয়ে রয়েছে করোনা (Corona)। আর তার সঙ্গে আবার পাল্লা দিয়েছে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন (Omicron)। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। একমাসেই বিশ্বের ১১৭টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২ হাজারের কাছাকাছি। এদিকে কেউ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা জানার জন্য জিনোম সিকোয়েন্সিং (Genome Sequencing) করা হচ্ছে। কিন্তু, সেই সুবিধাও নেই শহরের সব প্রান্তে। আর এই পরিস্থিতিতেই এবার বাজারে আসতে চলেছে ওমিক্রন টেস্ট কিট (Omicron Test Kit)। যার নাম দেওয়া হয়েছে 'ওমিসিওর' (OmiSure)।
ওমিক্রন আক্রান্তের পরীক্ষা যাতে আরও সহজ হয় তার জন্যই এই কিট তৈরি করেছে টাটা মেডিকেল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস (Tata Medical & Diagnostics)। আর সেই কিট ব্যবহারে অনুমতি দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (Indian Council of Medical Research)। ৩০ ডিসেম্বর অনুমোদনপত্র দেওয়া হয়েছে। এই কিটে অনুমতি দেওয়ার পর আইসিএমআরের তরফে জানানো হয়েছে, "পরীক্ষাগুলি প্রস্তুতকারক সংস্থার নির্দেশ মতো হয়েছে।" এর এই আতঙ্কের মাঝে এই কিট বাজারে এসে গেলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- শীতের ছুটি বাতিল, জরুরি ভিত্তিতে কাজে যোগ এইমস চিকিৎসকদের
দেশে যে করোনার তৃতীয় ঢেউ (Third Wave) আছড়ে পড়তে চলেছে তা নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, তারপরও উদাসীন ছিলেন সাধারণ মানুষ। আর মধ্যেই বড়দিন ও বর্ষশেষের রাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলেছে দেদার অনুষ্ঠান। বিভিন্ন প্রান্তেই বহু মানুষকে একসঙ্গে জমায়েত করতে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকেই গোটা দেশে হু হু করে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিনিই বাড়ছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তার সঙ্গে আবার পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। ওমিক্রনের সূত্র ধরে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। তার ভয়াবহতা কমাতে ইতিমধ্যেই দেওয়া শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ। কিন্তু, সেই ডোজ ওমিক্রনকে কতটা আটকাতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
আর এই পরিস্থিতির মধ্যে সবথেকে বেশি সমস্যা তৈরি করেছে ওমিক্রনকে শনাক্ত করা। কোনও ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলেই যে তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন এমনটা একেবারেই নয়। তাই ওমিক্রনকে শনাক্ত করার জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে জিনমো সিকোয়েন্সিং। কিন্তু, সেই পরীক্ষাও সব জায়গায় সহজলভ্য নয়। কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গায় সেই পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠাতে হয়। আর তার ফলেই সমস্যা বাড়ছে। অনেকের পরীক্ষা করাও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রোগীর শরীরে ওমিক্রমন বাসা বেঁধেছে কিনা তা জানাই এখন চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসকদের কাছে। কারণ অন্য রূপগুলির তুলনায় ওমিক্রন অনেক দ্রুত ছড়ায়। তাই আলাদা করে সেটিকে চিহ্নিত করতে পারলে আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। আর ওমিক্রন সংক্রমণের উপর কিছুটা রাশ টানা যাবে। এই পরিস্থিতিতেই ওমিসিওর নিঃসন্দেহে চিকিৎসকদের এবং গোটা স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে লাভজনক হবে।