সংক্ষিপ্ত
করোনার সংক্রমণের পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে তার নতুন রূপ ওমিক্রনও। কারণ এই ভাইরাস করোনার অন্য প্রজাতির থেকে অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের নেপথ্যে এই ভাইরাসই রয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা (Corona)। প্রতিদিনই দেশে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৯৮৬ জন। ২২২ দিনে যা সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ বলে জানা গিয়েছে। আর সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৭২ হাজার ১৬৯। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪০,৮৯৫ জন। এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর দেশে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ কোটি ৪৪ লক্ষ ১২ হাজার ৭৪০ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৭.৩০ শতাংশ। প্রতিদিনের পজিটিভিটি রেট ৯.২৮ শতাংশ। সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ৫.৬৬ শতাংশ।
করোনার সংক্রমণের পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে তার নতুন রূপ ওমিক্রনও। কারণ এই ভাইরাস করোনার অন্য প্রজাতির থেকে অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের নেপথ্যে এই ভাইরাসই রয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে ওমিক্রনকে নিয়ে বাড়ছে আরও চিন্তা। ইতিমধ্যেই দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭১।
আরও পড়ুন- বাড়ছে সংক্রমণ, সোমবার থেকে মহারাষ্ট্রে জারি হচ্ছে নৈশ কার্ফু
দেশের দুই রাজ্য দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দুই রাজ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েকজনের। শনিবার দিল্লিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ১৮১ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১ হাজার ৮৬৯ জন। মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। দিল্লিতে এখন সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ হাজার ১৭৮। করোনার পজিটিভিটি রেট ১৯.৬। সেখানে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ১৪৩ জনের।
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৪৩৪ জন। করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৬৭১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। আর রাজ্যে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯। আর দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫১৩।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৬৮.৮৪ কোটি করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৫০.০৬ কোটি ডোজ করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারপরও সংক্রমণকে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সতর্ক হওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। মাস্ক পরার পাশাপাশি জমায়েত নাম করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও সতর্ক করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, ওমিক্রনকে অনেকেই সাধারণ সর্দি কাশি হিসেবে বিবেচনা করছেন। কিন্তু এটি আদতে তা নয়। করোনার এই রূপটি খুবই হালকা লক্ষণযুক্ত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি উপসর্গহীন। কিন্তু, এটি সাধারণ সর্দি নয়। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সমস্যায় ফেলতে পারে এটি। বিপুল সংখ্যক রোগীর পরীক্ষা ও পরামর্শ ও নিরীক্ষণ করা খুবই জরুরি। এটি হঠাৎ বেড়ে গিয়ে ভয়ঙ্কর আকার নিতেই পারে। এর ফলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।