জরুরী পণ্য পরিষেবা চালু রাখতে রো-রো সার্ভিস ভারতীয় রেলেরওয়াগানের ওপর বসানো হচ্ছে পণ্য বোঝাই ট্রাকএকসঙ্গে প্রায় ৩০টি ট্রাক পরিবহণ করা যাবেসোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে জানালেন রেলমন্ত্রী

লকডাউনের মেয়াদ বাড়লেও জারি থাকবে জরুরী পরিষেবা। তাতে অবশ্য চিন্তা নেই। চাল, ডাল আলু থেকে বিস্কুট, ওষুধসহ আপনি আপনার প্রয়োজনীয় সকল পণ্যেই পাবেন। তা আপনি ভারতের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন। তেমনই আশ্বাস দিয়েছে ভারতীয় রেল। ২১ দিনের লকডাউনের দেশে কোনও প্রান্তেই অবশ্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে এসে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ক্রেতা তা এখনও পর্যন্ত শোনা যায়নি। মঙ্গলবারই লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই এই সময়ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পেতে কোনও সমস্যা হবে না। কারণ পাশে আছে ভারতীয় রেল। 

রেলমন্ত্রী স্যোসাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন লকডাউনের এই সময়ও প্রয়োজনীয় সামগ্রামী দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে রোল ওন রোল সার্ভিস চালু করেছে ভারতীয় রেল। গত রবিবারই মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস এই পরিষেবার মাধ্যমেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে কঙ্কন উপত্যকার মানুষের কাছে। 
Scroll to load tweet…

কী এই রোল ওন রোল সার্ভিস?
বেশ কয়েক বছর আগে ভারতী রেল এই পরিষেবা শুরু করেছিল। এই পরিষেবার মাধ্যমে সামগ্রী বোঝাই করা ট্রাক রেল ওয়াগানের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। আর সেই ওয়াগান গন্তব্যে পৌঁছে যায় খুবই সহজে। এই পদ্ধতিতে প্রায় ৩০-৪০টি ট্রাক এক সঙ্গে পৌঁছে দেওয়া হয় গন্তব্যে। লকডাউনের কারণে প্রায় বন্ধ রয়েছে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা। একএকটি রাজ্যে নিজেদের সীমানাও সিল করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও মালগাড়ি চলাচল করছে। তাই পণ্য বোঝাই ট্রাক রেল ওয়াগানের মাধ্যমে গোটা দেশে পৌঁছে দেওয়া খুব একটা খরচ সাপেক্ষ নয় বলেই দাবি করা হয়েছে রেলের তরফ থেকে। পাশাপাশি কম সময়ের মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া যাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। 

আরও পড়ুনঃ ২৪-এর সাধারণ নির্বাচন বাতিলের আর্জি, আর্থিক সংকট থেকে দেশকে বাঁচাতে মোদীর ওপর ভরসা রঙ্গোলীর .
আরও পড়ুনঃ 'ডেনমার্কের রাজকুমার ছাড়াই হ্যামলেট', ত্রাণের জন্য সওয়াল করে লকডাউন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা কংগ..
আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় জরুরী পরিষেবা প্রদানকারীদের ধন্যবাদ মায়ের, আর ছেলে চাইলেন স্মার্ট লকডাউন
রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর এই মুহূর্ত শুধুমাত্র নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য পরিষেবাই জন্যই এই রো-রো সার্ভিসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সড়ক পথে পণ্য পরিবহণ থেকে অনেকটাই খরচ কম পড়বে বলেও জানান হয়েছে। ১৯৯৯ সালে কঙ্কন উপত্যায় এই পরিষেবা প্রথম শুরু করেছিল ভারতীয় রেল। তবে লকডাউনের এই সময় সোলাপুর থেকে বেঙ্গালুরু পর্যন্ত রো রো পদ্ধতি পণ্য পরিবহণ করা হয়েছে।