সংক্ষিপ্ত

মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) একলাফে বাড়ল ওমিক্রন (Omicron) সংক্রমণের ঘটনা। নতুন করে মহামারির উদ্বেগ রাজ্যে। 
 

আচমকা একলাফে অনেকটা বেড়ে গেল মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা। শনিবারই এই রাজ্যের প্রথম ওমিক্রণ আক্রান্তকে সনাক্ত করা গিয়েছিল। রবিবার আরও ৭ জনের করোনা আক্রান্তের দেহে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে বলে রিপোর্ট করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সব মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে এখন মোট ৮ টি করোনা 'ওমিক্রন' ভেরিয়েন্টের সংক্রমনের কেস ধরা পড়ল। 

মহারাষ্ট্র রাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিভাগ রবিবার এক বিবৃতিতে জানায়, বলেছে, 'মহারাষ্ট্রে কোভিড-১৯-এর ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের জন্য আরও সাত জনকে পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের মোট ৮ টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে'। 

আরও পড়ুন - Omicron-infected Doctor: ওমিক্রন কি সত্যিই আতঙ্কের, শুনুন কি বলছেন খোদ আক্রান্ত ডাক্তার

আরও পড়ুন - Omicron in India: ৩৮টি দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে ওমিক্রন, ভারতে কি তৈরি তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য

আরও পড়ুন - Omicron In India: ভারতে চতুর্থ ওমিক্রন, আতঙ্ক এবার মুম্বই নগরীতে

শনিবার মহারাষ্ট্রের থানে জেলায় করোনাভাইরাসের নতুন রূপ 'ওমিক্রন'-এ আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তিকে সনাক্ত করা গিয়েছিল। এটি ছিল মহারাষ্ট্রে এই রুপের করোনা সংক্রমণের প্রথম এবং দেশের চতুর্থ ঘটনা। রবিবার সকালে দিল্লিতে সন্ধান মিলেছিল ভারতের পঞ্চম ওমিক্রন আক্রান্তের। তবে এখন, মহারাষ্ট্রের এই আচমকা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে, এখনও পর্যন্ত দেশের মোট ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা পাওয়া গেল ১২ টি।

এদিন মহারাষ্ট্রে যে সাতটি ক্ষেত্রে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট সনাক্ত হয়েছে, তার মধ্যে ছয়টিই পিম্পরি চিঞ্চোয়াড়ের। আর বাকি একটি ঘটনা পুনের। পিম্পরি চিঞ্চোয়াড়ের ছয়জনের মধ্যে তিনজন সম্প্রতি নাইজেরিয়া থেকে দেশে ফিরে এসেছেন। পুনের আক্রান্ত  যাত্রী ফিরেছেন ফিনল্যান্ড থেকে।

মহারাষ্ট্রের, প্রথম ওমিক্রন রোগী, ছিলেন মুম্বইয়ের (Mumbai) কাছেই থানের কল্যাণ ডম্বিভালি (Kalyan Dombivali) পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা, বয়স ৩৩ বছর। সম্প্রতি তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুবাইয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে দিল্লি হয়ে মুম্বই আসেন। তাঁর করোনা পরীক্ষার ফল ইতিবাচক আসার পর তাঁর লালারসের নমুনা নিয়ে পাঠানো হয়েছিল পুনের (Pune) সরকারি ল্যাবে জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর (Genome Sequencing) জন্য। সেখানেই, ধরা পড়ে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট। মহারাষ্ট্রের ওই ওমিক্রন রোগী ভ্যাকসিনের কোনও ডোজই পাননি। তাঁর সংস্পর্শে আসা ১২ জন প্রাইমারি কন্ট্যাক্ট এবং ২৩ জন সেকেন্ডারি কন্ট্যাক্টকে সনাক্ত করা হয়েছে এবং সকলেরই কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে। আপাতত সবারই ফলাফল নেতিবাচক এসেছে।

গত ২ ডিসেম্বর, ভারতে প্রথম ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়েছিল কর্নাটকের (Karnataka) বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)। ৬৬ বছর বয়সী এক বিদেশি নাগরিক, এবং ৪৬ বছর বয়সী এক ভারতীয় ডাক্তার - একসঙ্গে দুইটি ঘটনা রিপোর্ট করেছিল দক্ষিণের রাজ্যটি। শনিবার, গুজরাটের প্রথম এবং ভারতের তৃতীয় ওমিক্রন সংক্রামিতের সন্ধান মেলে জামনগরে। ৭২ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই ব্যক্তি, সম্প্রতি জিম্বাবোয়ে (Zimbabwe) থেকে দেশে ফিরেছিলেন। এখনও পর্যন্ত ভারতে যেসকল ওমিক্রন রোগীর সন্ধান মিলেছে, তাঁদের সকলেরই অল্পবিস্তর উপসর্গ রয়েছে। তবে কারোরই অসুস্থতা গুরুতর নয়।