সংক্ষিপ্ত

করোনা তৃতীয় তরঙ্গ আসাটাও নিশ্চিত

সেই সময় কতটা ঝুঁকিতে থাকবে ভারতের শিশুরা

কতটা গুরুতর হবে তাদের সংক্রমণ

কী জানালেন নয়াদিল্লির এইমস-এর ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া

 

মঙ্গলবার দীর্ঘদিন পর ভারতের দৈনিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যাটা নেমে এসেছে ১ লক্ষের নিচে। ৬৬ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। বোঝাই যাচ্ছে করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গ ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে আসছে। আর বিশেষ জল নেই। তবে নিশ্চিন্ত হতে পারছে না সাধারণ মানুষ। করোনার প্রথম তরঙ্গের বিদায়ের পর ভারতবাসী যেভাবে ধরে নিয়েছিল, মহামারির অবসান ঘটেছে, বর্তমানে মনোভাবটা ঠিক সেইরকম নেই। কারণ সকলেই আশঙ্কা করছেন, করোনার তৃতীয় তরঙ্গে মহামারির প্রভাব সবথেকে বেশি পড়বে শিশুদের উপর। তবে এই ধারণার পালে একেবারেই বাতাস দিতে রাজি নন নয়াদিল্লির এইমস হাসপাতালের ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া।
 
মঙ্গলবার,


কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন দিল্লি এইমস-এর ডিরেক্টর। ডা. গুলেরিয়া বলেন, কোভিড-১৯'এর পরবর্তী তরঙ্গ শিশুদের মধ্যে মারাত্মক সংক্রমণের কারণ হবে, এমন কোনও প্রমাণ এখনও কারোর কাছে নেই। আর তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন না ভবিষ্যতে শিশুদের মধ্যে মারাত্মক কোভিড সংক্রমণ হতে পারে। তাই বাবা-মা'দের অযথা চিন্তা করতে বারণ করেছেন তিনি।

বস্তুত, তৃতীয় তরঙ্গে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হবে এই ধারণা জনমানসে তৈরি হয়েছে অনেকটা অঙ্কের ঐকিক নিয়ম অনুসরণ করে। তথ্য বলছে করোনার প্রথম তরঙ্গের সময় বেশি আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রবীনরা এবং ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের সমস্য়া বা ক্যান্সারের মতো সহ-অসুস্থতা থাকা ব্যক্তিবর্গ। বাকিরা আক্রান্ত হলেও, তাদের সংক্রমণ গুরুতর ছিল না - কোনও কোনও ক্ষেত্রে উপসর্গ ছিলই না, বাকি ক্ষেত্রে হাসপাতালের সহায়তা লাগেনি। ঝুঁকিটা বেশি ছিল, যাদের অনাক্রম্যতা কম, তাদের। দ্বিতীয় তরঙ্গের ক্ষেত্রে কিন্তু ছবিটা একটু হলেও বদলেছে। সহঅসুস্থতা নেই, তরতাজা যুবক এমনকী ফিটনেস সচেতনরাও সংক্রামিত হয়েছেন, লেগেছে অক্সিজেন, অনেকের মৃত্যুও হয়েছে।

তাই এবার শিশুদের পালা, এমনটাই অনেকে মনে করছেন। এই ধারণা থেকেই আমেরিকা, কানাডার থেকে শুরু করে ভারতেও শিশুদের উপর করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের একাংশ করোনার টিকা পেলেও, ১৮ বছরের নিচে য়াদের বয়স, সেই বয়স-গোষ্ঠীর কেউ টিকা পায়নি এখনও। করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় তরঙ্গ - দুই ক্ষেত্রেই কিন্তু দেখা গিয়েছে শিশুরা সংক্রামিত হলেও তাদের সংক্রমণ গুরুতর আকার ধারণ করেনি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর কারণ হল শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় অনেকটাই তাজা। তাই করোনাভাইরাস বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারে না।