সংক্ষিপ্ত

সমীক্ষা বলছে টিকাকরণে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির সরকার অনেক দ্রুত কাজ করেছে। সেই তুলনায় ধীর গতিতে কাজ করেছে পশ্চিম বঙ্গ ও অন্যান্য অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। 

করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) প্রভাবে এক এক রাজ্যের সরকার এক একরকম গতিতে কাজ করেছে। সমীক্ষা (Survey) বলছে টিকাকরণে (vaccination) বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির (BJP-led state) সরকার অনেক দ্রুত কাজ করেছে। সেই তুলনায় ধীর গতিতে কাজ করেছে পশ্চিম বঙ্গ ও অন্যান্য অবিজেপি শাসিত (Non BJP-led state) রাজ্যগুলি। সমীক্ষায় প্রকাশ, কংগ্রেস ও তার বন্ধু রাজনৈতিক দলগুলি শাসিত রাজ্যগুলির কোনওটিই ৯০ শতাংশের বেশি মানুষকে প্রথম ডোজ এবং ৫০ শতাংশের বেশি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে সক্ষম হয়নি। 

এর পাশাপাশি, অদ্ভুতভাবে এই রাজ্যগুলি যেগুলি পর্যাপ্ত লোকেদের প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারেনি, তারা এখন বুস্টার ডোজের জন্য সওয়াল করছে। 

অন্যদিকে, অন্তত ৭টি বিজেপি শাসিত রাজ্য প্রথম ডোজটির ৯০ শতাংশের বেশি কভারেজ পেয়েছে এবং ৮টি বিজেপি শাসিত রাজ্য দ্বিতীয় ডোজটির ৫০ শতাংশ দিয়ে দিয়েছে।

বিজেপি শাসিত ও কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে টিকাকরণের হারের পার্থক্য বলে দিচ্ছে কীভাবে টিকাকরণের ক্ষেত্রে কাজ হয়েছে। কোন কোন রাজ্য কত পরিমাণ টিকা এখনও পর্যন্ত দিয়েছে, তা বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে ওই সমীক্ষা। জানা গিয়েছে ঝাড়খণ্ডে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৬৬.২% মানুষকে ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩০.৮% শতাংশকে। পঞ্জাবে ৭২.৫% শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৩২.৮% শতাংশ মানুষ। 

সেভাবেই তামিলনাড়ুতে প্রথম ডোজ ৭৮.১% ও দ্বিতীয় ডোজ ৪২.৬৫% মানুষ পেয়েছেন। মহারাষ্ট্রে ৮০.১১% মানুষ প্রথম ডোজ ও ৪২.৫% মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। ছত্তিশগড়ে ৮৩.২% ও ৪৭.২% মানুষ যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। রাজস্থানে ৮৪.২% মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন ও ৪৬.৯% মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৮৬.৬% মানুষ ও দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৩৯.৪% মানুষ। 

অন্যদিকে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে টিকাকরণের হার অনেক বেশি। হিমাচল প্রদেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১০০%, দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৯১.৯% মানুষ। গোয়াতে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১০০%, দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৮৭.৯% মানুষ। গুজরাতে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৯৩.৫%, দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৭০.৩% মানুষ। উত্তরাখন্ডে ৯৩.০% মানুষ প্রথম ডোজ ও ৬১.৭% মানুষ দ্বিতীয়ডোজ পেয়েছেন। মধ্যপ্রদেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৯২.৮% মানুষ ও ৬২.৯% মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। 

অন্যদিকে কর্ণাটকে ৯০.৯% মানুষ প্রথম ডোজ ও ৫৯.১% মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। হরিয়ানাতে প্রথম ডোজ ৯০.০৪% ও দ্বিতীয় ডোজ ৪৮.৩% মানুষ পেয়েছেন। অসমে প্রথম ডোজ ৮৮.৯% মানুষ ও ৫০% মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। ত্রিপুরাতে ৮০.৫% মানুষ প্রথম ডোজ ও ৬৩.৫% মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। 

চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ (new coronavirus variant) ওমিক্রন (Omicron)। ভারতেও নেওয়া হচ্ছে একাধিক সতর্কতা। সোমবার সংসদে শুরু শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আগে এই ওমিক্রনের বিষয়ে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। দেশের সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর আর্জি সতর্ক থাকুন (stay alert) ও সুস্থ থাকুন। 

শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমরা মহামারীর চ্যালেঞ্জিং সময়ে ১০০  কোটির বেশি কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ দিয়েছি। এখন আমরা ১৫০ কোটি ডোজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।" মোদী আরও বলেন একটি নতুন করোনা ভাইরাসের রূপ ভয় ছড়াচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে সকলকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।