সংক্ষিপ্ত
৫৬ ইঞ্চি ছাতির নিচে আছে একটা সংবেদনশীল হৃদয়ও
শুক্রবার সেটাই ধরা পড়ল ক্যামেরায়
বারানসীর কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ভিডিও কনফারেন্স করলেন তিনি
সেখানেই আবেগে গলা ধরে এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর
কেঁদে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কোভিডের কারণে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের কথা বলার সময় এদিন ধরা পড়ল ৫৬ ইঞ্চি ছাতির নিচে তাঁর একটা সংবেদনশীল হৃদয়ও রয়েছে। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশে, তাঁর সংসদীয় এলাকা বারাণসীর কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও বৈঠক করেন মোদী। আর সেখানেই মৃতদের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'এই ভাইরাসটি ... আমাদের কাছ থেকে অনেক প্রিয়জনকে ছিনিয়ে নিয়েছে। আমি তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের পরিবারদের জানাই সমবেদনা।' এরপরই দীর্ঘ বিরতি নেন তিনি। বোঝা যায় আবেগে তাঁর গলা রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বারানসীর চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং অন্যান্য ফ্রন্টলাইন কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে আমরা একই সঙ্গে একাধিক ক্ষেত্রে লড়াই করছি। সংক্রমণের হারও অনেক বেশি এবং রোগীদের দীর্ঘদিন হাসপাতালের সহায়তা লাগছে।'
কোভিড মহামারির মোকাবিলায় 'ব্যর্থতা' নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মোদী সরকারকে। বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকার করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের উত্থানের জন্য প্রস্তুতি নেয়নি। কোভিডের বিরুদ্ধে তারা বড্ড তাড়াতাড়ি বিজয় ঘোষণা করেছিল। দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়ে সরকারের কোনও ভাবনা ছিল না।
তবে ভারতে কোভিডের দাপট, গত দুই সপ্তাহে অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য করোনার তৃতীয় তরঙ্গের বিষয়ে এখন থেকেই সতর্ক করছেন। তৃতীয় তরঙ্গে শিশুদের উপর মহামারির প্রভাব বেশি পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিন প্রধানমন্ত্রীও শিশুদের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে এদিন বলেছেন, 'এটা আত্মতুষ্ট হওয়ার সময় নয়। সামনে দীর্ঘ লড়াই বাকি রয়েছে।'