সংক্ষিপ্ত

  • ভারেতর বেসরকারি ব্যাঙ্কের শেয়ার অধিগ্রহণ চিনের ব্যাঙ্কের
  • কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ রাহুল গান্ধির
  • কঠিন পরিস্থিতিতে হস্তান্তর নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে
  • রাহুল সমর্থন বিজেপি নেতা তেজস্বীর
আবার রাহুল গান্ধির তোপের মুখে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনাভাইরাসের সংক্রণ আর লকডাউন নিয়ে প্রথম থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা। দেশ বড়সড় আর্থিক সংকটের মুখে পড়তে চলেছে বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন। আর তাঁর সেই আশঙ্কাকে সত্যি প্রামাণ করল ভারতের বেসরকারি ব্যাঙ্ক এইচডিএফসি।
 
দেশের বৃহত্তম গৃহঋণ প্রদানকারী ব্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। নতুন অর্থবর্ষের শুরুতেই  সেই ব্যাঙ্কের প্রায় ১ কোটি ৭৫ লক্ষ শেয়ার কিনেনিল চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। যা পিপিলস ব্য়াঙ্ক অব চায়না নামে পরিচিত। বর্তমানে এইচডিএফসির প্রায় ১.০১ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা চিনের এই ব্যাঙ্কের হাতে। আর দেশের এই অস্থির সময়েই এই শেয়ার অধিগ্রহণ নিয়ে রীতিমত আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। রবিবারই সোশ্যাল রাহুল গান্ধি বলেছিলেন, ভারতের সামনে বিশাল আর্থিক মন্দা আসছে। আর এই আর্থিক মন্দাতেই অনেক ভারতীয় কর্পোরেট অধিগ্রহণের জন্য আকর্ষণীয় লক্ষ্য হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে চাইবে। আর এই জাতীয় সংকটের সময়  সরকার যেন জাতীয় কর্পোরেটগুলির নিয়ন্ত্রণ নিতে বিদেশী সংস্থাকে অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করে। 
 

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি মূল বক্তব্যই আর্থিক মন্দাকে কাজে লাগিয়ে দেশের কর্পোরেটগুলি যেন কোনও বিদেশি সংস্থা দখল করতে না পারে তা সুনিশ্চিত করা উচিৎ কেন্দ্রীয় সরকারের। আর্থিক সংকটের কারণে কিছুটা হলেও জর্জরিত দেশীয় কর্পোরেট সংস্থাগুলি। এই অবস্থায় শুধু রাহুল গান্ধি একাই নয়। বিজেপি নেতা তথা সাংসদ তেজস্বী সুরিয়াও সম্পূর্ণ রূপে সমর্থন করেছেন রাহুল গান্ধিকে। সোস্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, দেশীয় কর্পোরেটগুলিতে বিদেশী বিনিয়োগ খুবই সাবধানতার সঙ্গে পর্যালোচনা করে দেখতে হবে। পাশাপাশি তেজস্বী তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কংগ্রেসকে রীতিমত খোঁচাও দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, কংগ্রেসের শাসনকালে বিদেশী হস্তান্তর কী ভাবে দেশকে বিপর্যস্ত করেছিল তাও মাথায় রাখতে হবে। 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মার্চ মাসে গোটা দেশেই লকডাউনের কথা ঘোষণা করা হয়। তারাপর থেকেই আর্থিক মন্দা ছবিটা ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে দেশে। ইতিমধ্যে দেশের জিডিপিও নিম্নগামী। সংকট আরও ঘনীভূত হবে বলে ইতিমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। শুধু ভারত নয় গোটা বিশ্বেই আর্থিক মন্দার ছবিটা প্রায় একই।