সংক্ষিপ্ত

 প্রায় ছয় মাস পরে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৫২ শতাংশে নেমে আসে। তাই প্রয়োজন তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার শট। 

করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ (Third dose) নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron ) প্রতিরোধ ক্ষমতা (vaccine effectiveness) বাড়িয়ে তোলে ৮৮ শতাংশ। সম্প্রতি ব্রিটেনের এক গবেষণা এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে। ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (UK Health Security Agency) এই গবেষণার ফলগুলি একত্রিত করে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। মলিকিউলার মেডিসিনের অধ্যাপক এবং স্ক্রিপস রিসার্চ ট্রান্সলেশনাল ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর এরিক টপোল (Eric Topol) জানিয়েছেন যে প্রায় ছয় মাস পরে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৫২ শতাংশে নেমে আসে। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় শট নিলেও এই কার্যকারিতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকবে। তাই প্রয়োজন তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার শট। 

গবেষণা বলছে তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ যথেষ্ট পরিমাণে ইমিউনিটি ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তা জটিল আকার ধারণকরার ঝুঁকি কমিয়ে দেয় এই তৃতীয় ডোজ। এছাড়াও সাধারণ সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়। এরিক টপোল একটি টুইটে বলেন যে দ্বিতীয় ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৫২ শতাংশ কমে যায় ছয় মাস পরে। সেখানে ৩য় ডোজের পরে ৮৮ শতাংশ বেড়ে যায়। 

তবে টিকা দেওয়ার আগে এবং পরে মাস্ক ব্যবহার করা আবশ্যক এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলা উচিত। করোনাভাইরাসের আগের স্ট্রেনগুলির সময় চিকিত্সার যে নির্দেশিকা ছিল, বর্তমানে ওমিক্রন (Omicron) আসার পরও তা, পাল্টায়নি। হোম আইসোলেশন এখনও করোনা যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। প্রসঙ্গত, আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ভারতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার শট দেওয়া শুরু হবে। ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং সহ-অসুস্থতা থাকা ৬০ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিকদের এই ডোজ দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, যোগ্য বয়সগোষ্ঠীর মানুষদের সতর্কতামূলক ডোজ দেওয়া শুরু হওয়ার পরই তা নেওয়ার জন্য স্মরণ করিয়ে দিতে এসএমএস পাঠানো হবে।

রিপোর্টে জানানো হয়েছে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় টিকার ডোজের পরে ওমিক্রন আক্রান্ত হলে সেক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি কম। দেখা গিয়েছে টিকা না দেওয়া রোগীদের তুলনায় তিন ডোজ পরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি গড়ে ৮১ শতাংশ হ্রাস পায়। লক্ষণীয় সংক্রমণের ক্ষেত্রে, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি গড়ে ৬৮ শতাংশ কমেছে বলে অনুমান করা হয়। 

সতর্কতামূলক ডোজের পাশাপাশি ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে ভারতে শিশুদের টিকাকরণের প্রথম পর্যায় শুরু হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের। তার জন্য কীভাবে কোইউন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করতে হবে, তা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রে প্রবীন নাগরিকদের সহ-অসুস্থতা প্রমাণের জন্য মেডিকাল সার্টিফিকেট দিতে হবে বলে জানানো হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই নিয়ম সংশোধন করে বলা হয়েছে, কোনও ডাক্তারি সংশাপত্র লাগবে না।