সংক্ষিপ্ত

এবার জাইডাস ক্যাডিলা

আরও এক করোনা টিকা চাইল ছাড়পত্র

একদিন আগেই মডার্নার ভ্যাকসিন আসার খবর পাওয়া গিয়েছিল

জাইডাসের টিকা দেওযা যাবে ১২-১৮ বছর বয়সীদেরও

 

বুধবার মডার্না সংস্থার তৈরি করোনা টিকা ভারতে আমদানী করার অনুমতি পেয়েছিল সিপলা। তার পরের দিনই, বৃহস্পতিবার ভারতের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিসিজিআই-এর কাছে তাদের তৈরি করোনাভাইরাস টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য আবেদন জানালো ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলা। সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, আপাতত বছরে ১২ কোটি ডোজ পর্যন্ত টিকা উত্পাদন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই টিকা কিন্তু দেওয়া যাবে ১২ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত বয়সী কিশোর-কিশোরীদেরও।

জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি করোনা ভ্যাকসিনটির নাম জাইকোভ-ডি। ডিসিজিআই সবুজ সঙ্কেত দিলে, এই নিয়ে ভারতের পাঁচটি ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাবে। গত জানুয়ারি মাসে ভারতে করোনার টিকাকরণ শুরু হয়েছিল। সেই সময় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা বিকশিত এবং তাদের ভারতীয় অংশীদার সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তৈরি কোভিশিল্ড, এবং ভারত বায়োটেক সংস্থার তৈরি কোভ্যাক্সিন - এই দুটি কোভিড টিকাকেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এরপর, রাশিয়ার গামালিয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি স্পুটনিক ভি টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। বুধবারই আবার মার্কিন সংস্থা মডার্নার তৈরি করোনা টিকা ভারতে আমদানী করার অনুমতি পেয়েছে সিপলা সংস্থা।  

জাইকোভ-ডি টিকাটি সারা দেশে ২৮ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবীর উপর পরীক্ষা করা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, এই ২৮ হাজারের মধ্যে প্রায় এক হাজার জনের বয়স ছিল ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। কাজেই এই টিকা ছাড়পত্র পেলে, দেশে প্রথমবার অপ্রাপ্তবয়স্করাও টিকা পাওয়ার সুযোগ পেতে পারে। সদ্য এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়েছে। সংস্থার দাবি, টিকাটি নিরাপদ এবং করোনাভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে কার্যকরি বলে প্রমাণিত হয়েছে। জাইডাস সংস্থার স্টক এক্সচেঞ্জের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে , এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালটি হয়েছে দেশে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ চলাকালীন। কাজেই, ডেল্টার বিরুদ্ধেও এটি কার্যকরী বলে মনে করা হচ্ছে।

গত এপ্রিল-মে মাসে ভারতে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল করোনা মহামারি। শিখরে উঠেছিল মহামারিটির দ্বিতীয় তরঙ্গ। এখন ধীরে ধীরে তার প্রভাব কমে আসলেও, মহামারি রোগ বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্য়েই তৃতীয় তরঙ্গ আসার বিষয়েও আগাম সতর্কতা জারি করে দিয়েছেন। তারা সাফ জানিয়েছেন, ব্যাপকহারে টিকা দেওয়াই এই মহামারিকে রুখে দেওয়ার সেরা উপায়। তবে সঙ্গে ব্যবহার করে যেতে হবে মাস্ক, রাখতে হবে শারীরিক দূরত্ব। সরকারের দাবি চলতি বছরের শেষের মধ্যেই সকলকে টিকা দেওয়া হবে। এতদিন, তা দূর কল্পনা বলে মনে হলেও, যেভাবে প্রতিদিনই নতুন নতুন টিকার আগমন ঘটছে, তাতে করে সরকারে সেই দাবি আর খুব দূরের বলে মনে হচ্ছে না।