সংক্ষিপ্ত

  • করোনার থাবায় বিধ্বস্ত গোটা দেশ
  • টিকাকরণ একমাত্র পথ বলছেন ডাক্তাররা
  • তবে পর্যাপ্ত টিকার অভাবেরউঠছে অভিযোগ
  • এই পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখাল জাইকোভ ডি
     

মারণ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোভিড ভ্যাকসিন যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সেই কথা বারবার বলেছেম চিকিৎসক থেকে বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল গোটা দেশ। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। দেশের হাসপাতালগুলিতে বেড, ওষুধ ও অক্সিজেনের আকালের পাশাপাশি টিকাকরণ নিয়ে দেখা দিয়েছে সমাপ্ত। পর্যাপ্ত টিকা না থাকার অভিযোগ উঠছে সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে আরও একটু আশার আলো দেখাল জাইডাস ক্যাডিলা। তাদের তৈরি ভ্যাকসিন জাইকোভ-ডি খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে বাজার।

ভারতে ইতিমধ্যেই সেরামের কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ও রাশিয়ার স্পুটনিক ভি টিকা ব্যবহারে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জাইকোভ-ডি অনুমোদিত হলে সেটি হবে চতুর্থ কোভিড টিকা। ইতিমধ্যেই এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। জাইডাস ক্যাডিলা দ্বিতীয় ভারতীয় ভ্যাকসিন উৎপাদক কোম্পানি যারা ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে মে মাসের শেষ সপ্তাহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। তবে এই টিকা যে কার্যকরী ও সুরক্ষিত তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাইডাস গ্রুপের এমডি শার্ভিল প্যাটেল।

সাধারণত ভ্যাকসিন ২-8 ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সংরক্ষণ করা উচিত। তবে জাইডাসের ভ্যাকসিন ঘরের তাপমাত্রায় ঠিক থাকে। সংস্থার দাবি, এই ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়াও সহজ। একইসঙ্গে শুক্রবার কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে চলতি বছরের শেষের মধ্যে তারা ৫ কোটি জাইকোভ-ডি টিকা তৈরির করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। ইতিমধ্যেই টিকা তৈরির জন্য অন্য দু’টি উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছে জাইডাস। ফলে জাইডাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিন বাজারে আসলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও কিছুটা তরান্বিত হবে। 

YouTube video player