সংক্ষিপ্ত
- ভারতের কনিষ্ঠতম উদ্ভাবক হিসাবে ডিজাইনটির প্রোটোটাইপ করেছেন দিগন্তিকা
- ইতিমধ্যেই দিগন্তিকা তার এগারোটি উদ্ভাবনের জন্য এই বয়সেই উদ্ভাবক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে
- গত বছর করোনাকালেই ভাইরাস ধ্বংসকারী মাস্ক তৈরির পরিকল্পনা এসেছিল তার মাথায়
- দুনিয়াকে মুগ্ধ করেছে দিগন্তিকার কাজ
দুনিয়ার সেরা দশটি অনুপ্রেরণামূলক ডিজাইনের তালিকায় ঠাঁই পেল বর্ধমানের মেমারির মেয়ে দিগন্তিকা বোসের তৈরি ভাইরাস ধ্বংসকারী মাস্ক। বিশ্বের সেরা সার্চ ইঞ্জিন জায়েন্ট গুগল করোনা অতিমারির মাঝে দুনিয়ার সেরা শিল্পকলা নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল। গুগলের সেই প্রদর্শনীতেই দুনিয়াকে মুগ্ধ করল মেমারির দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী দিগন্তিকা বোসের ভাইরাস ধ্বংসকারী মাস্ক। এর আগেও নানা উদ্ভাবনী আবিষ্কারের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রশংসিত হয়েছে ১৭ বছরের দিগন্তিকা। ইতিমধ্যেই দিগন্তিকা তার এগারোটি উদ্ভাবনের জন্য এই বয়সেই উদ্ভাবক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।
মিউজিয়াম অফ ডিজাইন এক্সিলেন্সের যাদুঘর, মুম্বইয়ের সহযোগিতায় ভাইরাস ডিটারজেন্ট মাস্কের মডেল গুগল ভার্চুয়াল মিউজিয়াম গুগল আর্ট এন্ড কালচার এ স্থান পেয়েছে। তারা মডেলটি সংরক্ষণ করেছে।পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে ভাইরাস ডিটারেন্ট মাস্ক, ২০২০, উদ্ভাবক দিগন্তিকা বোসের নাম । আরও উল্লেখ করেছে এই ধুলোমুক্ত এবং ভাইরাস-নিরোধকমাস্কটি ভারতের ১৭ বছর বয়সী কনিষ্ঠতম উদ্ভাবক হিসাবে ডিজাইনটির প্রোটোটাইপ করেছেন দিগন্তিকা।
আরও পড়ুন: দিল্লি-গুজরাতে আতঙ্ক, করোনার সঙ্গে বাড়ছে আরও এক ভয়ঙ্কর সংক্রমণ-ব্ল্যাক ফাঙ্গাল ইনফেকশন
গত বছর করোনাকালেই ভাইরাস ধ্বংসকারী মাস্ক তৈরির পরিকল্পনা এসেছিল তার মাথায়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ভাইরাস ডিটারজেন্ট মাস্ক তৈরি করে। দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী দিগন্তিকা জানায়, "নেতিবাচক আয়নগুলি আমাদের চারপাশের বাতাসের সংস্পর্শে এসে বেশিরভাগ ভাইরাসকে ধ্বংস করে দেয়। সম্পূর্ণ ভাইরাস ধ্বংস নিশ্চিত করতে একটি সাবান-জল মিশ্রণ দুটি রাসায়নিক ফিল্টারে যুক্ত করা হয়েছে যা গৃহীত বাতাসকে বিশুদ্ধ করে যার মধ্যে ভাইরাসের অবশিষ্ট ধ্বংস করে প্রবেশ করতে দেয়। এই ভাবে সমগ্ৰ উদ্ভাবনটির বর্ণনা করেছে গুগল।"