সংক্ষিপ্ত

রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক আক্রান্ত ২৩০। পয়লা জুন যেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৯ জন, এখন সেখানে স্বাস্থ্য দফতরের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে, তিনশোর কাছাকাছি।   এমনকি গত ২৪ ঘন্টায় একজন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক আক্রান্ত ২৩০। পয়লা জুন যেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৯ জন, এখন সেখানে স্বাস্থ্য দফতরের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে, তিনশোর কাছাকাছি। প্রায় ৩ মাস পর জুনের প্রথম শুক্রবার ১০০ ছুঁয়েছিল কোভিড সংক্রমণ রাজ্যে। গত ২৪ ঘন্টায় ইতিমধ্যেই ফের সংখ্যাটা বাড়ল। এমনকি গত ২৪ ঘন্টায় একজন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতরের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৩০। চলতি বছরের শুরু যে কোভিডের ঢেউ আছড়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল, তা ক্রমশ নেমে এলেও পরবর্তীতে কমবেশি ওঠা নামা করে। তবে সেই ওঠা নামার সংখ্যাটা ছিল ১০০-র নিচের দিকেই। কিন্তু রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে লাফিয়ে বেড়ে ৩৯ থেকে ২৩০ । যেটা উদ্বেগ বাড়াল স্বাস্থ্য দফতরকে। প্রায় ৩ মাস পর চলতি  মাসের প্রথম শুক্রবার সেই সংখ্যাটা হয় ১০৪ এবং গত ২৪ ঘন্টায় তা ফের বেড়ে দাঁড়ায় ২৩০। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন ২০ লক্ষ ২০ হাজার ৭৭৪ জন।রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার গত ৪ দিন ধরে ১ শতাংশের বেশি। গত ২৪ ঘন্টায় তা বেড়ে হয় ১.০৫ শতাংশ। রাজ্যে হোম আইসোলেসনে বর্তমান অ্যাক্টিভ রোগী সংখ্যা ১০০৭ জন। উল্লেখ্য, গোটা এপ্রিল মাসই কোভিডে মৃত্যুহীন ছিল রাজ্য। তবে মাঝে কোভিডে মৃত্যুহীন হলেও ফের মৃত্য়ু হয়েছে বাংলায়। গত চব্বিশ ঘন্টায় স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে কোভিডের জেরে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও অবধি বাংলায় মারণ রোগের বলি ২১ হাজার ২০৭ জন।

আরও পড়ুন,রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল ? বিরোধীদের প্রথম পছন্দ কে, জল্পনা তুঙ্গে

অপরদিকে কোভিড বিধি উঠে গেলেও সংক্রমণ রুখতে নমুনা পরীক্ষা চলছে। একদিনে ৭ হাজার ৭৮৪ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও অবধি ২৫,৪২৪, ১৮৪ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। টেস্টিং-র পাশাপাশি টিকাকরণও চলছে জোর কদমে।  রাজ্যে এহেন পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই জরুরী বৈঠক করেছে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সময় যেসকল সংক্রমণে দাপট সবচেয়ে বেশি ছিল, সেগুলিকে হটপ্সট হিসাবে চিহ্নিত করা কড়া নজরদারি চালানো হবে। নিউআলিপুর , কসবা, বড়বাজার, কালীঘাট, ভবানীপুর, শিয়ালদহ, যাদবপুর, মুকুন্দপুর, গড়িয়ার মতো জায়গা থেকে শুরু করেই করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা শহরের অন্য জায়গার থেকে বেশি। ওই সব এলাকায় যাতে মানুষ মাস্ক পড়েন, বাজারগুলিতে যাচে দূরত্ববিধি বজায় থাকে, এর জন্য প্রচার চালানো হবে। 

আরও পড়ুন, ৭ বিধায়কদের সাসপেনশন নিয়ে হাইকোর্টে শুভেন্দুরা, কী বললেন অধ্যক্ষ

আরও পড়ুন, 'সারমেয়-র মতো মৃত্যু হবে মোদীর' বিস্ফোরক কংগ্রেস নেতা শেখ হুসেন, দায়ের এফআইআর