সংক্ষিপ্ত
কয়লাপাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। প্রথমে তিনি না আসায় দ্বিতীয়বার নোটিশ দেয় সিবিআই। মূলত পার্থ-পরেশের পর এবার তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কয়লাপাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। প্রথমে তিনি না আসায় দ্বিতীয়বার নোটিশ দেয় সিবিআই। মূলত অভিষেক-পার্থ-পরেশের পর এবার তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এখনও অবধি শুধু শওকত মোল্লাই নন, সিবিআই-র নজরে তৃণমূলের আরও অনেক হেভিওয়েটরাই রয়েছেন। সিবিআইয়ের তলবের ভিত্তিতে শওকত মোল্লা বুধবার হাজিরা দেবেন বলে আগেই দলীয় সূত্রে খবর এসেছিল। সেই মতোই বুধবার নিজাম প্যালেসে আসেন তিনি।
কয়লাপাচার মামলায় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকে ৯ জুন দ্বিতীয়বার নোটিশ দেয় সিবিআই। ১৫ জুন বুধবার নিজামপ্যালেসে তাঁকে তলব করা হয়। কয়লাপাচার মামলায় এই মর্মে শওকত মোল্লাকে যোগাযোগ করা হলেও, তৃণমূল বিধায়ককে ফোনে পাওয়া যায়নি। তাঁকে প্রথমে আগেরবার শুক্রবার সকাল ১১ টায় কলকাতায় সিবিআই-র আঞ্চলিক দফতর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। যদিও প্রথমে এনিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি শওকত মোল্লা। তবে পরে প্রশাসনিক কাজে আসতে পারেননি বলে চিঠি দেন এবং মেল করেন তিনি। বেআইনি আর্থিক লেনদেন নিয়ে কিছু জানেন কিনা, ওই কয়লা কোথায় কোথায় কী কাজে লাগত, এগুলি নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা সিবিআইয়ের। কয়লাপাচার মামলায় তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে হাজির সময় সঙ্গে করে নিয়ে আসতে বলা হয়, পাসপোর্ট, আধাঁর কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড এবং ব্যাঙ্ক স্টেট মেন্ট। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল বিধায়কের নামে কোনও কোম্পানি থাকলে, সেই সংক্রান্ত নথিও জমা করতে হবে।
আরও পড়ুন, 'সারমেয়-র মতো মৃত্যু হবে মোদীর' বিস্ফোরক কংগ্রেস নেতা শেখ হুসেন, দায়ের এফআইআর
যদিও কয়লাপাচার মামলায় এই মর্মে শওকত মোল্লাকে যোগাযোগ করা হলেও, তৃণমূল বিধায়ককে ফোনে পাওয়া যায়নি। তাঁকে প্রথমে আগেরবার শুক্রবার সকাল ১১ টায় কলকাতায় সিবিআই-র আঞ্চলিক দফতর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়। যদিও প্রথমে এনিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি শওকত মোল্লা। একটা সময় বাম আমলের মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লার ঘনিষ্ঠ ছিলেন শওকত মোল্লা। পরে দুজনেই দল পরিবর্তন করেন। দল পরিবর্তনের পর থেকেই শওকত মোল্লার রাজনৈতি কেরিয়ারের গ্রাফ ঝড়ের গতিতে উপরের দিকে ওঠে। ২০১৬ সালে বিধায়ক হওয়ার দুই বছরের মধ্যে জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব পান। তার দেওয়া মনোনয়ন পত্র থেকে সম্পত্তির হিসেব জানা যায় শওকত মোল্লার। এবার কথা হচ্ছে পার্থ-পরেশের মতো তার সম্পত্তিরও খতিয়ান চাইবে কি সিবিআই, সময়ের অপেক্ষায় সবাই।
আরও পড়ুন, দেওরের স্ত্রীকে কাজের টোপ দিয়ে পাচারের অভিযোগ, গ্রেফতার নিউটাউনের গৃহবধূ