সংক্ষিপ্ত
- বিহার থেকে দেহ ভেসে আসার আশঙ্কা মালদহের গঙ্গায়
- যার জেরে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন
- দেহ পাওয়া গেলে সম্মানের সৎকারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
- ১০- ১২ টি নৌকায় নজরদারিতে ব্লক প্রশাসন-পুলিশ
বিহার থেকে দেহ ভেসে আসার আশঙ্কা মালদহের গঙ্গায়। যার জেরে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। নবান্নের নির্দেশ পেয়ে বিহার এবং ঝাড়খন্ড সীমানা সংলগ্ন গঙ্গায় ভেসে আসা দেহের সন্ধানে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ এবং ব্লক প্রশাসন।
আরও পড়ুন, জ্বলেই চলেছে চুল্লির আগুন, কোভিডে একদিনের মৃত্যুতে শীর্ষে কলকাতা
প্রসঙ্গত সারাদেশেই কোভিড ভয়াবহ মৃত্যু শুরু হয়েছে। বুধবারের গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৪,১২০ জনের। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান যে, কোভিড পরিস্থিতিতে দেহগুলি সৎকার করতে না পেরে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার সেই আশঙ্কায় নবান্নের নির্দেশ পেয়ে উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং ঝাড়খন্ড সীমানা সংলগ্ন গঙ্গায় ভেসে আসা দেহের সন্ধানে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ এবং ব্লক প্রশাসন। তাই নবান্ন থেকে অপ্রীতিকর কিছু ঘটার আগেই মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রকে সতর্ককতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়ায়র নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ মেনে দেওয়া হয়েছে। পাশপাশি কোনও মৃতদেহ পাওয়া গেলে সম্মানের সৎকারের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, মালদহের প্রশাসক গঙ্গা নদীর তীরবর্তী ব্লকের আধিকারিকদের নজরদারির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানত মানিকচক, কালিয়াচক-২, কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লক আধিকারিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার নদী তীরবর্তী ১০- ১২ টি নৌকার মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থা করেছে ব্লক প্রশাসন-পুলিশ। মাঝি -মল্লা আর নদীপথে ফেরি পরিষেবায় যারা যুক্ত তাঁদেরকেও এই বিষয়ে সতর্কতা মূলক বার্তা দেওয়া হয়েছে। নদীতে কোনও মৃতদেহ ভেসে আসতে দেখলেই পুলিশ-প্রশাসনকে খবর দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত বিহারের কাটিহার বক্সার, উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর-কানপুরের গঙ্গায় বহু পচাগলা-আধপোড়া দেহের সন্ধান মিলেছে। করোনায় মৃতদেহ সম্পূর্ণ সৎকার না করে গঙ্গায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই দুই রাজ্যর সরকারের বিরুদ্ধে।