সংক্ষিপ্ত

নদীয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) বাসিন্দা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Calcutta Medical College and Hospital) এক জুনিয়র ডাক্তার ওমিক্রন (Omicron) সংক্রামিত। ফলে পশ্চিমবঙ্গের মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে চারজন হল। 
 

বঙ্গে আরো বাড়ল করোনাভাইরাসের ওমিক্রন (Omicron) সংক্রমণের সংখ্যা। এবার আক্রান্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Calcutta Medical College and Hospital) এক জুনিয়র ডাক্তার। ফলে পশ্চিমবঙ্গের মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে চারজন হল। এরমধ্যে একজন অবশ্য সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। তবে, সবথেকে ভয়ের বিষয় হল, নতুন সনাক্ত হওয়া সংক্রামিত জুনিয়র ডাক্তারটির, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই এবং সম্প্রতি বিদেশ-ফেরত কারোর সংস্পর্শেও আসেননি তিনি। ফলে তাঁর ঘটনা ওমিক্রনের স্থানীয় সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। 

জানা গিয়েছে ওমিক্রন আক্রান্ত ওই জুনিয়র ডাক্তারের নাম অনির্বাণ হালদার। তিনি, আদতে নদীয়া (Nadia) জেলার কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) মানুষ। তবে কর্মসূত্রে এখন কলকাতাতেই থাকেন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সপ্তাহখানেক আগে ২১ বছরের অনির্বানের জ্বর এসেছিল। গত রবিবার (১৯ ডিসেম্বর), কলকাতার মেডিকেল কলেজে করোনার জন্য তাঁর নমুনার ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট (Rapid Antigen Test) করানো হয়েছিল। ফল নেগেটিভ এসেছিল। পরের দিন আরটি-পিসিআর টেস্ট (RT-PCR Test) করানো হয়। একদিন পর তার রিপোর্ট আসলে দেখা যায় অনির্বান করোনা পজিটিভ। এরপরই তাঁকে কৃষ্ণনগর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর বাড়িতে ১০ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর নমুনা পাঠানো হয়েছিল জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর (Genome Sequencing) জন্য। 

গত শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সেই রিপোর্ট এলে জানা যায় তিনি ওমিক্রন আক্রান্ত। কৃষ্ণনগর পৌরসভার (Krishnanagar Minicipality) গাড়িতে তাঁকে তড়িঘড়ি কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হসপিটালে (Beliaghata ID Hospital) পাঠানো হয়। পাশাপাশি, নদীয়া জেলার স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে তাঁর পরিবারের বাকিদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। অনির্বানের বাবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও, মা করোনা পজিটিভ হিসাবে সনাক্ত হয়েছেন। তাঁকে কল্যাণী কোভিড হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এদিকে, নদীয়া জেলায় এই প্রথম কোনও ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়ল। বিশ্বের অন্যান্য জায়গা থেকে আসা খবরে সকলেই জানেন, ওমিক্রন কতটা সংক্রামক। তাই, আপাতত গোটা কৃষ্ণনগর শহর জুড়ে রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

গত, ১৫ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গে প্রথম ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়েছিল। বাবা-মায়ের সঙ্গে আবু ধাবি (Abu Dhabi) থেকে হায়দরাবাদ (Hyderabad) হয়ে পশ্চিমবঙ্গে ফেরা এক ৭ বছর বয়সী ছেলের দেহে ওমিক্রন ধরা পড়েছিল। এরপর, ২৩ ডিসেম্বর, পশ্চিমবঙ্গে ওমিক্রনের আরও দুটি ঘটনা সনাক্ত করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ৬৯ বছরের একজন নাইজেরিয়া (Nigeria) থেকে ফিরেছিলেন এবং ২১ বছরের এক যুবক যুক্তরাজ্যের (United Kingdom) ডাবলিন (Dublin) থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। ক্রমবর্ধমান ওমিক্রন সংক্রমনের মধ্যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কলকাতায় সনাক্ত হওয়া সকল কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর নমুনাই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।