সংক্ষিপ্ত

জেলার বিভিন্ন পার্কে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পর্যটকদের চাপ কমাতে অস্থায়ী পিকনিক স্পটও খুলে দেওয়া হয়। আর এভাবেই বড়দিনের আনন্দে সামিল হয়েছিলেন বহু মানুষ। 

বড়দিন (Christmas) উপলক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কলকাতার (Kolkata) পাশাপাশি জেলাগুলিতেও সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছিল। আর সেই আমেজ দেখা গিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapore)। শীতের আমেজ উপভোগ করতে শনিবার সকাল থেকেই উৎসবের মেজাজে (Festive Mood) দেখা গিয়েছে জেলাবাসীকে। জেলার বিভিন্ন পার্কে (Park) ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পর্যটকদের (Tourist) চাপ কমাতে অস্থায়ী পিকনিক স্পটও (Picnic Spot) খুলে দেওয়া হয়। আর এভাবেই বড়দিনের আনন্দে সামিল হয়েছিলেন বহু মানুষ। বাঁধনছাড়া আনন্দে মেতে উঠেছিলেন তাঁরা। প্রায় দু'বছর পরে জেলায় বড়দিন পালনের ছবি সর্বকালের রেকর্ড ছাপিয়ে গেল পার্কের আয়ের ক্ষেত্রে। 

গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির কাছে ঘোরা ফেরা করেছে। সর্বাধিক ২৪ ডিগ্রি ছিল শনিবার। আর শনিবার সকাল থেকেই রোদের দেখা পাওয়া গিয়েছিল। তাই আরও জমে উঠেছিল বড়দিন। করোনা বিধির তোয়াক্কা না করেই সর্বত্র দুবছরের ঘরবন্দী দশা যেন ঘোঁচালেন জেলাবাসী। শনিবার সকাল থেকেই মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন জেলার সব থেকে বড়ো ইকো পার্কে পিকনিক করতে ভিড় করেছিলেন বহু মানুষ। বেলা বারোটার মধ্যে এই পার্কের ধারণ ক্ষমতা অনুসারে ৭৭ টি পিকনিক স্পট ভরে যায়। তারপরও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন ভিড় জমাতে থাকেন সেখানে। জোরাজুরি করতে থাকেন পার্কের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে। পরিস্থিতি দেখে অস্থায়ী পিকনিক স্পট করতে বাধ্য হন পার্কের বনকর্মীরা (Forester)। 

আরও পড়ুন- শীতের আমেজ গায়ে মেখে ব্যান্ডেল চার্চ ও ইমামবাড়াতে উপচে পড়া ভিড় বড়দিনে

গোপগড় ইকোপার্কের দায়িত্বে থাকা বিট অফিসার মলয় নন্দী বলেন, "পার্কের ধারণ ক্ষমতা ছাপিয়ে ভিড় হয়েছে। বেলা বারোটার মধ্যেই পার্কের ভিতরে প্রবেশ করেছেন সাড়ে চার হাজারের বেশি মানুষ। পিকনিক করতে আসা লোকজনের চাপে অতিরিক্ত স্পট তৈরি করতে হয়েছে। অপ্রত্যাশিত চাপ তৈরি হয়েছে সকাল থেকেই। সেদিকে লক্ষ্য রেখে মানুষকে যাতে কোনও সমস্যাতে না পড়তে হয় তার দিকে সজাগ থাকতে হয়েছে আমাদের।" 

আরও পড়ুন- সন্ধ্য়া নামতেই আলোর সমুদ্রে ভাসল কলকাতা, দেখুন ক্রিসমাসের নানা মুহূর্ত

মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন পার্কগুলি ছাড়াও জেলার গনগনি, পরিমলকানন পার্ক, কর্ণগড় সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলি ছিল ভিড়ে ভরা। শহরের প্রান্তে থাকা রেলব্রিজ এলাকা তথা কংসাবতী নদীর পাড়ে পিকনিক করতে গিয়ে বাঁধন ছাড়া উল্লাস দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন পার্কের বিধিনিষেধ না মানতে চাওয়া ও স্পট বুকিং করতে না পারা লোকজনরা ভিড় করেছিলেন এই এলাকা গুলিতে। পিকনিক করতে গিয়ে রেল লাইনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে সেলফিও তুলতে দেখা গিয়েছে বহু মানুষকে। জেলার সবচেয়ে প্রিয় নির্মল হৃদয় আশ্রম চার্চ মেলাও প্রায় একবছর বন্ধ থাকার পরে শুরু করার অনুমতি পেয়েছে। এই মেলাও শুরু হয়েছে শনিবার থেকেই।