সংক্ষিপ্ত
আরো শিথিল হচ্ছে কোভিড বিধিনিষেধ
খুলতে চলেছে রেস্তোরাঁ, শপিং মল
তবে মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত
বণিক সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের
পশ্চিমবঙ্গে পুরোপুরি লকডাউন জারি না করা হলেও, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গকে বাগে আনতে বেশ কিছু বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবার, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য শপিং মল থেকে রেস্তোঁরা - অনেকগুলি পরিষেবাকেই কিছুটা ছাড় দিলেন। 'কার্যত লকডাউন' থেকে একটু একটু করে আনলকের পথে হাঁটতে শুরু করল রাজ্য, এমনটা বলা যেতেই পারে।
এদিন কিছুটা দ্বিধা করেই রেস্তোরাঁ খোলার অনুমতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই, প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রেস্তোরাঁ খোলা থাকবে। তবে, মালিক পক্ষকে দায়িত্ব নিয়ে সকল কর্মচারিকে করোনার টিকা দিয়ে নিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রেস্তোঁরা শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্যই দৈনিক কয়েক ঘন্টা করে রেস্তোরাঁ মালিকদের ব্যবসা করার অনুমতি দিচ্ছে তাঁর সরকার। সেইসঙ্গে শপিং মলের ক্ষেত্রেও আংশিক ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে মল খোলার বাবনা রয়েছে। তবে, এই সমস্ত শিথিলতাই লাগু হবে ১৫ জুন থেকে। গত সপ্তাহেই, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১৫ জুন অবধিই লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ জারির মেয়াদ বাড়িয়েছিল।
এদিন, রাজ্য সচিবালয়ের পক্ষ থেকে, বিভিন্ন শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। ২৯টি বণিক সংগঠন সেই বৈঠকে অংশ নেয়। সেখানে মহামারি চলাকালীন ব্যবসা চালানোর বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ব্যবসা বন্ধের পক্ষপাতি নয়। তবে একইসঙ্গে, রাজ্য সরকারকে করোনাভাইরাস রোগের নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, যাতে এই মহামারির আর কোনও তরঙ্গ রাজ্যে না আসে তার জন্য সকলকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। সেইসঙ্গে, এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খাদ্য সরবরাহের প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন। শিল্পক্ষেত্রে অন্যভাবে টিকাকরণের প্রস্তাবও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে কোভিড-১৯ সংক্রমণের দাপট কিছুটা কম হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই চলতি সপ্তাহের সোমবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউনের মতো বিধিনিষেধে কিছুটা শিথিলতার দিয়েছিলেন। কলেজ স্ট্রিটের বইয়ের দোকান-সহ খুচরো পণ্য বিক্রির দোকানগুলিকে দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সব কর্মীদের টিকা দেওয়ার শর্তে নির্মাণ কার্যক্রম ফের শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টের মধ্যে দশ শতাংশ কর্মী নিয়ে কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।