সংক্ষিপ্ত
- দূর্বাচটি খালের সংস্কার শুরু হয়েছিল
- পাড়ে থাকা দোকানিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ
- প্রবল বৃষ্টিতে নদীপাড়ের মাটি আলগা হতে শুরু করেছে
- ক্রমশ ধ্বসে পড়ছে একের পর এক দোকান ঘর
মাস কয়েক আগেই শুরু হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর দাসপুরে দূর্বাচটি খালের সংস্কার। তখনই সেচ দফতরের পক্ষ থেকে পাড়ে গজিয়ে ওঠা দোকানীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তখনও বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এবার প্রবল বৃষ্টিতে নদীপাড়ের মাটি আলগা হতে শুরু করেছে। ক্রমশ ধ্বসে পড়ছে একের পর এক দোকান ঘর।
এলাকায় বন্যার প্রকোপ কমাতে এই সংস্কার বলে জানিয়েছিল সেচ দপ্তর। সংস্কারের পরেই কয়েকদিনের বৃষ্টির জলের চাপ বাড়তেই খালপাড়ের থাকা দুই প্রান্তের দুই জেলার কয়েকশ দোকান ধ্বসে নেমে গেল খালে। পরিস্থিতি দেখে দ্রুত জেসিবি দিয়ে নষ্ট হতে থাকা দোকানের জিনিসপত্র উদ্ধার করা শুরু করেছেন স্থানীয়রা। অনেকের দোকান পড়ে না গেলেও, ফাটল ধরেছে ভিতে। তাই তার আগেই দোকানের সব মালপত্র সরিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
দাসপুরের খুকুড়দহ ও লক্ষীবাজার এলাকাতে এই চিত্রই দেখা গেল। প্রবল বৃষ্টিতে খালের জল বাড়তেই, মাটি নরম হতে শুরু করেছে। এতেই খালের ধারে গজিয়ে ওঠা দীর্ঘদিনের দোকানগুলি ক্রমশ খালের দিকে হেলে যেতে শুরু করেছে। ফলে দোকানদাররা ভীষণ ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ব্যবসায়ীরা তড়িঘরি করে দোকানের মধ্য থেকে মালপত্রগুলি বার করার চেষ্টা শুরু করেন।
লক্ষীবাজার কমিটির সম্পাদক শক্তিপদ আদক বলেন-বৃহৎ স্বার্থে খালের সংস্কার শুরু হয়েছিল ঠিকই, সেচ দপ্তর এর পক্ষ থেকে আগাম নোটিশ দেওয়া হয়েছিল সরিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু এত দ্রুত ধসে নেমে যাবে এটা আমরা আশা করিনি। উল্টোদিকের পূর্ব মেদিনীপুরের ব্যবসায়ীদের দোকানগুলি, এবং এই প্রান্তের বহু দোকান ধসে ফাটল ধরে নেমে যাচ্ছে। আমরা দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। রাখাটা নিরাপদ হবে না। কিন্তু বর্তমানে এতজন ব্যবসায়ী সব বেকার হয়ে গেল। সরকারের সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে।
এদিকে ঘাটাল মহকুমা সেচ ও জলপথ দপ্তর থেকে জানানো হয় -খালটি নিয়ম মেনেই কাটা হচ্ছে। খাল কাটার আগেই দোকানগুলিকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এদিকে দোকান ধসে যাওয়ার আতঙ্কে দোকানিরা।