সংক্ষিপ্ত

বিদেশ থেকে আসার ফলে ওমিক্রন সন্দেহ তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয়। তবে তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি। আর তা জানতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য তাঁর শরীর থেকে নমুনা নিয়ে তা পাঠানো হয়েছে কল্যাণীতে। 

ফের ওমিক্রনে (Omicron) আক্রান্তের সন্দেহ কলকাতায় (Kolkata)। নাইজেরিয়া (Nigeria) ফেরত এক ব্যক্তি ওমিক্রন আক্রান্ত সন্দেহে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে শহরে। এই মুহূর্তে ওমিক্রন সন্দেহে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে (Private Hospital in Kolkata) ভর্তি রয়েছেন তিনি। 

কয়েকদিন আগেই নাইজেরিয়া থেকে কলকাতায় ফেরেন ওই ব্যক্তি। কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) তাঁর করোনা পরীক্ষা (Corona Test) করা হয়েছিল। তখন রিপোর্ট নেগেটিভ (Negative Report) আসে।  স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বিমানবন্দর থেকে হোটেলে যাওয়ার পর থেকেই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। তারপর সন্দেহ হওয়ায় শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করাতে যান। তখন তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ (Positive Report) আসে। তারপর সোজা তিনি যান কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এদিকে বাইরের দেশ থেকে আসার ফলে ওমিক্রন সন্দেহ তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয়। তবে তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি। আর তা জানতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য তাঁর শরীর থেকে নমুনা নিয়ে তা পাঠানো হয়েছে কল্যাণীতে। 

আরও পড়ুন- COVID-19 টিকার পুরো ডোজ নেওয়ার পর করোনা আক্রান্ত, গবেষণা বলছে এতেই হবে সবথেকে লাভ

গত সপ্তাহেই রাজ্যে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। সাত বছরের এক নাবালকের শরীরে করোনার নতুন প্রজাতির হদিশ মিলেছিল। তবে বৃহস্পতিবার ওই নাবালকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাতে কিছুটা হলেও মিলেছে স্বস্তি। অবশ্য বর্তমানে রাজ্যে কোনও ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী নেই। নাইজেরিয়া ফেরত এই ব্যক্তি ওমিক্রন আক্রান্ত না হলে মিলবে আরও স্বস্তি। এর আগেও কলকাতায় ওমিক্রন আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। ওমিক্রনে আক্রান্ত সন্দেহে এক ব্রিটেন ফেরত তরুণীর জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর জানা যায় যে তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত নন। 

ধীরে ধীরে দেশের সব প্রান্তেই থাবা বসাচ্ছে ওমিক্রন। ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে সেই তালিকা। এই মুহূর্তে ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৩। দেশের মধ্যে প্রথমে কর্নাটকে এই প্রজাতির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের খোঁজ মেলে। দেশের মোট ১২টি রাজ্যে থাবা বসিয়েছে ওমিক্রন।

সারা বিশ্বে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এরই মধ্যে ব্রিটেনে গবেষণায় উঠে এসেছে ওমিক্রন সংক্রমণের কিছু উপসর্গ। হাঁচি, মাথা ব্যথা ও ক্লান্তির মত উপসর্গ থাকতে পারে ওমিক্রন আক্রান্তের। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সুপার মিউট্যান্ট ভাইরাস কোভিডের চেয়ে বেশি সর্দি-কাশির মতো। অন্যদিকে, সাধারণত কোভিডের উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে, একটানা কাশি, প্রবল জ্বর ও ঘ্রাণ ও স্বাদ হারিয়ে ফেলা।