সংক্ষিপ্ত

কোভিডের কারণে দীর্ঘ লোকডাউনের জেরে লোকসানে পড়তে হয়েছিল ভারতীয় রেলকে। তবে  সেই লোকসানের হাত থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসতে এই বাতিল যন্ত্রাংশ বিক্রি একটি অন্যতম উপায় বলেই মনে করছে ভারতীয় রেল।

পূর্ব রেলের স্ক্র্যাপ বিক্রির পরিমান ছুঁল ২১২ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা।উল্লেখ্য, কোভিডের কারণে দীর্ঘ লোকডাউন থাকায় দুরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছিল অনেক মাস। যার জেরে লোকসানে পড়তে হয়েছিল ভারতীয় রেলকে। তবে  সেই লোকসানের হাত থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসতে এই বাতিল যন্ত্রাংশ বিক্রি করেই বলে অনুমান রেলের (Indian Railway)। গত বছরের তুলনায় ৮০%- র বেশি বৃদ্ধি। রেলের বাতিল যন্ত্রাংশ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তৎকালীন রেল মন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব। সেই মতোই বিভিন্ন সময়ে পূর্ব রেল তার বাতিল হয়ে যাওয়া যন্ত্রাংশ টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি শুরু করে। এই বিক্রি থেকে রেলের আয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।

সম্প্রতি পূর্ব রেল একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এই বিক্রি করা হয়। এতে একদিকে যেমন আয় বাড়ে। ঠিক তার পাশাপাশি কাজের জন্য জায়গার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে রেল ট্রাকের কাছে পরে থাকা এই বাতিল যন্ত্রাংশ থেকে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকিও কমে। রেল ট্রাকের দেখভাল করার কাজের সময় এই বাতিল যন্ত্রাংশ থেকে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকে যায় বলেই পূর্ব রেল সূত্রে খবর। বাতিল যন্ত্রাংশ বিক্রি থেকে রেলের আয়ের পরিমান উত্তরত্বর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চলতি মাসের ১৪৫ তারিখ থেকে ১৭ তারিখ অব্দি এই বাতিল যন্ত্রাংশের বিক্রি থেকে তিনদিনে রেলের আয় হয়েছে ৫ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা এবং এই বছরের এখনো অব্দি মোট আয় ২১২ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার মতো। যা কিনা গত বছরের তুলনায় ৮০% অধিক বলেই রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে। বিক্রি বৃদ্ধির পরিমান দেখে এই বছর রেল বোর্ড ২৬৫ কোটি টাকার যে লক্ষমাত্রা দিয়েছিল তা সামনের বছর মার্চ মাসের আগেই পূর্ণ হয়ে যাবে বলেই রেলের বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে।পূর্ব রেলের বেলুড় ইয়ার্ড থেকে মোট ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা, হাওড়া ইয়ার্ড থেকে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, জামালপুর ইয়ার্ড থেকে ১ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা, মালদা ইয়ার্ড থেকে ১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা।

প্রসঙ্গত রেলের যাত্রী টিকিটের দাম না বাড়িয়ে অন্যান্য উপায়ে আয় বৃদ্ধির চেষ্টা শুরু করে ভারতীয় রেল বোর্ড। পাশাপাশি কোভিডের কারণে দীর্ঘ লোকডাউন থাকায় দুরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছিল অনেক মাস। যার জেরে লোকসানে পড়তে হয়েছিল ভারতীয় রেলকে। সেই লোকসানের হাত থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসতে এই বাতিল যন্ত্রাংশ বিক্রি একটি অন্যতম উপায় বলেই মনে করছে ভারতীয় রেল।