সংক্ষিপ্ত
রাজ্যে রাতারাতি তির্যকভাবে কোভিড গ্রাফ বেড়েই চলেছে। কিন্তু ডেলটায় নাকি ওমিক্রণে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রাজ্যে রাতারাতি তির্যকভাবে কোভিড গ্রাফ (Covid Graph) বেড়েই চলেছে। ৬ হাজারের গণ্ডীতেও যখন রাজ্য়ের দৈনিক সংক্রমণ ছিল, তখনও একুশের কথা মনে করছিল সবাই। যুক্তি ছিল এটাই গতবছরের হারে কতটা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু তাও যেন, সেটা সুদিন। কারণ শুক্রবারের স্বাস্থ্য দফতরের কোভিড বুলেটিন যা পরিসংখ্যান দেখাল, তাতে রেকর্ড সংক্রমণ বললেও কম হবে বোধহয়। কারণ এত অল্প সময়ে প্রায় ৬-৭ গুণ সংক্রমণ আগে কখনও হয়নি। তবে প্লাস পয়েন্ট একটাই, মৃত্যু হার বাড়েনি পশ্চিমবঙ্গে। আর এখান থেকেই একটাই প্রশ্ন উঠে আসে। রাজ্যবাসীর শরীরে ছদ্মবেশে কোভিডের কোন ভ্যারিয়েন্ট আক্রমণ করছে। আর এখানেই কিছুটা অস্পষ্টতা, আর দীর্ঘ নিশ্বাস। কারণ ১৮ হাজারের গণ্ডি পেরোলেও সবার পরিচয় তাঁরা কোভিড পজিটিভ। কিন্তু ডেলটায় নাকি ওমিক্রণে (Omicrone), এর উত্তর কমই পাওয়া যাবে। কিন্তু কী কারণে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রাজ্যের ১৮ হাজারের উপরের মানুষ কোভিড পজিটিভ। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কে কে ওমিক্রনে আক্রান্ত তা আর এই মহূর্তে সবসময় জানা সম্ভব হচ্ছে না। তার অন্যতম কারণ এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট খোঁজ পেতে বেশ অনেকটাই খরচ হয়। এদিকে যেতে হয় কল্যাণীর ল্যাবে। অর্থাৎ মোটেই সহজলভ্য নয়। এই মুহূর্তে ব়্যাপিড টেস্ট হলেও এখন তাই অন্যতম ভরসা আরটিপিসিআর। কারণ ওমিক্রন আছে কি না জানা না গেলেও কোভিড যে আপনার শরীরে বাসা বেধেছে, তা অবশ্যই জানা যাবে। তবে এই মুহূর্তে এর একটা মুশকিল আসান রেখেছে আইসিএমআর। তাতে আপনার সময় লাগবে কম, আপনার সোয়াব দূরে কোথাও পাঠাতে হবে না। চাইলে ঘরে বসেই এই সুবিধা পেতে পারেন। ঝক্কি একটাই খরচ আপনাকে বহন করতে হবে। এই মুহূর্তে ওমিক্রন সনাক্ত করার জন্য আরটিপিসিআর-র একটি বিশেষ কিট তৈরি করা হয়েছে ভারতে। এটি তৈরি করেছে টাটা এমডি এবং আইসি এমআর। ওই কিটকে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অব ইন্ডিয়া। নতুন এই কীট ওমিক্রনের রিপোর্ট দেবে মাত্র ৪ ঘন্টায়।
উল্লেখ্য করোনার জেনোম সিকোয়েন্সের জন্য এখন সময় লাগছে ৫ থেকে ৭ দিন। সেই জায়গা থেকে দেখলে টাটা মেডিক্যালের এই কিট বড় দিশা দেখাচ্ছে। ওমিক্রন নির্নয়ে বর্তমানে যে কিট ভারতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা তৈরি করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি থার্মো ফিসার। এসজিন টার্গেট ফেলিওর পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা হচ্ছে ওমিক্রনকে। এই কিটটি মার্কিন কিটের থেকে অনেক কম দামে পাওয়া যাবে বলে শোনা যাচ্ছে।