সংক্ষিপ্ত

মহামারী চিরতরে চলতে পারে না এবং এর সমাপ্তি খুব কাছাকাছি। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করার ক্ষমতা ইতিমধ্যেই চলে এসেছে।

করোনা মহামারীর শেষ আসন্ন। খুব দ্রুত এই পরিস্থিতি বদলে যেতে চলেছে। কোনও মহামারীই এই বিশ্বে দীর্ঘদিন ধরে টিঁকে থাকতে পারেনি। এমনই দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির বিজ্ঞানী (American expert) এবং ভাইরোলজিস্ট কুতুব মাহমুদের। তিনি জানান মহামারী চিরতরে চলতে পারে না এবং এর সমাপ্তি খুব কাছাকাছি। করোনা ভাইরাসের (COVID-19) সঙ্গে মোকাবিলা করার ক্ষমতা ইতিমধ্যেই চলে এসেছে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মূল হাতিয়ার টিকা(vaccination)। এই টিকা দিয়েই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া যাবে করোনা ভাইরাসকে। 

এই গবেষকের মতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাতিয়ার যেমন টিকা, তেমনই মাস্কের ব্যবহার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সামাজিক দূরত্ব এর লড়াইকে আরও জোরদার করবে। এক বছরের মধ্যে ৬০ শতাংশ টিকা অর্জনের জন্য ভারতের প্রশংসা করে, ভাইরোলজিস্ট এটিকে দেশের জন্য এবং ভারতীয় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের জন্য সত্যিই একটি বড় সাফল্য বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি আরও বলেছিলেন যে অদূর ভবিষ্যতে COVID-19 ভাইরাসের নতুন মিউটেশন দেখা গেলে বিজ্ঞানীরা অবাক হবেন না। কারণ এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ওমিক্রন ডেল্টা ভেরিয়েন্টের তুলনায় চারগুণ গতিকে সংক্রামিত করে।
Omicron ভেরিয়েন্ট যুগান্তকারী সংক্রমণের কারণ হয়েছে এবং যারা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে তাদের সংক্রামিত করেছে। এছাড়াও, এই রূপটি সেই সমস্ত লোকদেরও আক্রমণ করছে যাদের ভ্যাকসিনের সুরক্ষা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩ থেকে ৯ জানুয়ারির মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১.৫ কোটি কোভিড-১৯-এর ঘটনা ঘটেছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি।

উল্লেখ্য, রবিবার এক বছর পূর্ণ হল ভারতের করোনভাইরাস টিকাকরণ অভিযানের (India Covid-19 Vaccination Drive)। ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি, সর্বপ্রথম স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। তারপর থেকে এদিন সকাল পর্যন্ত ১৫৬.৭৬ কোটির বেশি (১,৫৬,৭৬,১৫,৪৫৪) ডোজ কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হয়েছে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য (Mansukh Mandaviya), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ (Amit Shah) বিশিষ্ট নেতারা ভারতের টিকাকরণ অভিযানের  এক বছর পূর্তিকে  স্বাগত জানিয়েছেন।

২০২০ সালের গোটা বছরটাই ঢাল-তরোয়াল ছাড়া একেবরে সামনে দাঁড়িয়ে কোভিড-১৯'এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন ডাক্তার-নার্স-চিকিৎসা কর্মীরা। তাই, ঠিক এক বছর আগে, এই স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মীদের দিয়েই প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে অন্যান্য ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকা দেওয়া হয়। তারপর, ধাপে ধাপে ষাটোর্ধ এবং সহঅসুস্থতা থাকা ৪৫-ঊর্ধ্বদের, সকল ৪৫-ঊর্ধ্বদের, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫-১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে, ১০ জানুয়ারি থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মী, ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং ষাটোর্ধদের টিকার সতর্কতামূলক তৃতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।