সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশের মৌলবীদের হিন্দু ধর্মের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল বাংলাদেশে। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার পূর্ব শাকপুরার ঐতিহ্যবাহী লালার হাট আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে ঘটে ঘটনাটি। তদন্ত করছে পুলিশ।
ফের বাংলাদেশে(Bangladesh) সাম্প্রদায়িক অশান্তির জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। তবে এবার অবশ্য কোনও রকম জঙ্গি হানার দায়ে দোষী নয় বাংলাদেশ (Bangladesh), হিন্দু ধর্মের প্রতি আক্রমন করেছ বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। বন্দরনগর চট্টগ্রামে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হল দেবী সরস্বতীর মাটির মূর্তি (Saraswati Idol)। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই ছোটরা সকলেই দেবী বন্দনায় মেতে উঠবে। আর ঠিক তার আগেই বাংলাদেশের মৌলবীদের হিন্দু ধর্মের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল বাংলাদেশে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বোয়ালখালিতে অন্তত ৩৫টি সরস্বতী প্রতিমা ভাঙা ফেলে হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার পূর্ব শাকপুরার ঐতিহ্যবাহী লালার হাট আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে ঘটে এই ঘটনাটি। সামনেই সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja), তাই নিয়ম মেনেই মৃৎশিল্পী বাসুদেব পাল এই প্রতিমাগুলো তৈরি করেছিলেন। কারন আর কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে সরস্বতী প্রতিমার বিক্রি। প্রায় একশো বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন প্রতিমা গড়ার কাজ করছেন পাল পরিবার। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই ধরনের ধর্ম নিরপেক্ষতাকে কেন্দ্র করে হামলা হওয়ার ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী। দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন প্রায় সকলেই।
মৃৎশিল্পী বাসুদেব পাল জানিয়েছেন, প্রতি বছরের মত এবারেও তিনি সরস্বতী প্রতিমা গড়েছিলেন। উন্মুক্ত স্থানে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে সাদা পর্দায় ঢেকে রাখা ছিল প্রতিমাগুলো। শনিবার সকালে দেখেন তার মধ্যে ৩৫টি সরস্বতী প্রতিমাগুলি ভেঙে রাস্তায় পড়ে রয়েছে। এই রকম ঘটনা আগে কখনও ঘটে নি বলে,চিরাচরিত নিয়মে আগে থেকে বায়না নিয়েই প্রতিমা গড়ার কাজ করেছিলেন তিনি। মৌলবীদের এহেন আচরণে আর্থিকভাবে অনেকটাই ক্ষতি হল তাঁর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চট্টগ্রামের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মহঃ কবীর আহমেদ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহঃ আবদুল করিম ও বোয়ালখালি পুজো উদযাপন পরিষদের সদস্যসচিব অমিত লালা। তাঁরা প্রত্যেকেই ঘটনাস্থল ঘুরে পরিদর্শন করেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, ছোটবেলা থেকেই স্কুলে যাওয়ার সময় মৃৎশিল্পী বাসুদেব পালের প্রতিমা গড়া দেখতেন তিনি। তাঁর প্রতিমা পাহাড়া দেওয়ারই প্রয়োজন হত না কখনও। সেই রকম একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই এলাকায় একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে অশান্তি তৈরির ছক কষছে বলে মন্তব্য করেছেন বোয়ালখালি পুজো উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব অমিত লালা।
আরও পড়ুন-'সন্তান জন্ম দেওয়ার এত দরকার কেন', নাম না করেই অন্তঃসত্ত্বা পরীমণি ইস্যুতে বিস্ফোরক তসলিমা
আরও পড়ুন-Bangladesh: তিন মন্দিরে 'পবিত্রতা নষ্ট' করার অভিযোগ, তৎপর বাংলাদেশের পুলিশ
অন্য়দকে আবার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিমের মতে, রাস্তার পাশে প্রতিমাগুলো উন্মুক্ত অবস্থায় রাখা ছিল। হয়তো এলাকার বাচ্চারা কোনও রকমভাবে খেলতে গিয়ে সেগুলো ভেঙে গিয়ছে। পরিকল্পিতভাবে এগুলো ভাঙা নাও হতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে বলে অবশ্য দাবি করেছেন মো. আব্দুল করিম। সেই সঙ্গে বলেন, প্রতিমা রক্ষায় এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হচ্ছে।