সংক্ষিপ্ত
করোনাভাইরাসের থাবা থেকে রেহাই নেই তাবড় রাষ্ট্রনেতাদেরও
শুক্রবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন
তারপরই জল্পনা শুরু হয়েছে ইমরান খান-কে নিয়ে
পা প্রধানমন্ত্রীও কি কোভিড-১৯ আক্রান্ত
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান-এরও করোনভাইরাস পরীক্ষার ফল ইতিবাচক এসেছে। ভারতীয় সময় শুক্রবার দুপুরেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টুইট করে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছিলেন তাঁর দেহে কোভিড-১৯ রোগের হাল্কা উপসর্গ দেখা যাওয়ার পর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তাঁর দেহেও বাসা বেঁধেছে করোনাভাইরাস। ঠিক তার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়া ও বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলেও খবর আসতে থাকে আরও এক রাষ্ট্রনেতা ঘায়েল করোনার হাতে। তিনি আর কেউ নন, পাক প্রধানমন্ত্রী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খান।
স্ববাবতই এই খবরে শোরগোল পড়ে যায় নেট দুনিয়ায়। কিন্তু, পাক সরকাররে পক্ষ থেকে এই সম্পর্কে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। অনেকেই দাবি করতে থাকেন, পাক সরকারের পক্ষ থেকে এই সত্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। অনেকে বলেন, ইমরান কান প্রকাশ করতে চাইলেও পাক সেনা এই তত্য প্রকাশে বাধা দিচ্ছে। সত্যিই কি তাই?
বিষয়টি নিয়ে ধন্দ অবশ্য কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যায়। ওই খবর প্রচারের কিছুক্ষণের মধ্যেই সরাসরি টেলিভিশনের পর্দায় উপস্থিত হন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তখনও জল্পনা চলছিল, হয়তো নিজের আক্রান্ত হওয়ার খবরই দিতে এসেচেন তিনি। কিন্তু, এই বিষয়ে কোনও কথাই উল্লেখ করেননি ইমরান। বরং, জিওটিভি, পিটিভি নিউজ, ২৪ নিউজ-সহ সব প্রথমম সারির পাক খবরের চ্যানেলগুলির বিশিষ্ট সাংবাদিকদের সঙ্গে কোভিড-১৯ সংকট নিয়ে আলোচনা করেন। বিভিন্ন চ্যানেল কীভাবে দেশের করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় সরকারের সঙ্গী হতে পারে সেইদিকটি তুলে ধরেন তিনি।
বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মতো পাকিস্তানও এই মুহূর্তে প্রয়োজনীয় পরিষেবা ছাড়া লকডাউনের আওতায় রয়েছে। সেই সঙ্গে চিনা মেডিকেল সরবরাহ গ্রহণের জন্যও সীমানাও খোলা রেখেছে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে ১,২৩৫ জন কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত। আর মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।
সম্প্রতি পাক সরকার ঘোষণা করেছে, দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় তারা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনদের সমন্বয়ে গঠিত যুববাহিনীর সাহায্য নেবে। এই বাহিনীর নাম দেওয়া হয়েছে 'করোনাভাইরাস রিলিফ টাইগার্স'। করোনোভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে, তারা প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ করবে। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একটি ত্রাণ তহবিলও শুরু করেছেন। দিনমজুর ও অভাবীদের সহায়তা করার জন্য তা ব্যবহার করা হচ্ছে। বিদেশের বসবাসকারী পাক নাগরিকদেরও দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে গঠিত নতুন অ্যাকাউন্টে অর্থ অনুদানের জন্য আহ্বান করা হয়েছে।