সংক্ষিপ্ত

  • করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪০ লক্ষের মৃত্যু 
  • বিশ্বের কাছে এখনও মহামারি ভয়াবহ 
  • জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 
  • টিকাদেওয়ার ওপরে জোর 

এক বছরেরও  বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিশ্ব। দেখতে দেখতে কোভিড মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ লক্ষ অতিক্রম করে গেছে। যা নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কোভিড অতিমারিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এই অবস্থায় বিশ্বের অনেক ধনী দেশই কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে অনেকটাই হালকা করে দিচ্ছে। অন্যদিকে এশিয়ার দেশগুলিতে এখনও আক্রান্তের সংখ্যা রীতিমত উদ্বেগজনক। তবে এশিয়া দেখা যাচ্ছে অন্য ছবি। একদিকে করোনা যুদ্ধ শিথিল করা হচ্ছে। অন্যদিকে নতুন করে লকডাউন আরোপ করা হচ্ছে।

প্রয়াত হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, দুবার আক্রান্ত হয়েছিলেন কোভিডে 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা  হয়েছে করোনার নতুন হটস্পট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটিতে মৃত্যুর হার মাসে ১০ গুণ বেড়েছে। শুধুমাত্র বুধবারই এই দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজারেও বেশি মানুষের। বিশ্বের কাছে এখনও এই মহামারিটি বিপজ্জনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধনম ঘেব্রেইয়াসুস মহামারিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ লক্ষের বেশি বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ধনী দেশগুলির ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে। তিনি বলেছেন, সমস্ত দেশে যদি দ্রুততার সঙ্গে টিকা দেওয়া যায় তাহলে দ্রুততার সঙ্গে মহামারি শেষ হতে পারে। 

মোদীর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের আগে আরও ২ হাইপ্রোফাইল মন্ত্রীর পদত্যাগ, ১২ মন্ত্রীর ইস্তফা

ইন্দোনেশিয়া হটস্পটে পরিণত হওয়ার পর সেখানে করোনা-বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ২৭০ মিলিয়ন মানুষের বাস ইন্দোনেশিয়ায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে বসে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যবসা বাণিজ্যেই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সংক্রমণ নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে বলেছেন এখনই যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া না যায় তাহলে ভবিষ্যতে আর কোনও দিনই  তা করা যাবে না। তিনি আরও বলেছেন তেমনটা যদি হয় তাহলে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। 

কেমন ছিল দিলীপ কুমার আর তিন খানের সম্পর্ক, স্মৃতির পাতা থাকে সায়রা বানুর কথা

করোনাভাইরাসের নতুন করে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে ভিয়েতনামের হোচিমিন শহর আর মায়ানমারের ইয়াঙ্গনে। দুটি শহরেও নতুন করে লকডাউন জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুটি শহরে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। সিডনিতে পাঁচ মিলিয়ন বাসিন্দা আবার নতুন করে লকডাউনের মুখোমুখি হয়েছে। এই শহরে টিকা কর্মসূচিও চলছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা আশা করছেন এটাই শেষ লকডাউন। কিন্তু তারপরেও থেকে যাচ্ছে আতঙ্ক। 

প্রায় ১৮ মাস আগে চিনে প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশ্বের কমবেশি প্রত্যেকটি দেশই। সংক্রমণের কারণে একাধিক ইভেন্ট বাতিল করা হয়েছে। টোকিও অলিম্পিকের মত গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল গত বছর। চলতি বছর দর্শক ছাড়াই তা আয়োজনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

ব্রিটেনসহ বেশ কয়েকটি দেশ করোনা সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। টিকাকরণে জোরদার করা হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেনে বিধি নিষেধ উঠে যেতে পারে বলও মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে দ্রুততার সঙ্গে টিকা দিলে সংক্রমণের চেইন ভাঙতে বাধ্য। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুলনায় পিছিয়ে পড়া আর দরিদ্র দেশগুলিকে নিয়ে। ধনী দেশগুলি বিধিনিষেধ কমিয়ে দেওয়া.য় সমস্য়ায় পড়ছে দরিদ্র দেশগুলি। অর্থনীতিসহ একাধিক বিষয়ে ধনী দেশের ওপরেই নির্ভরশীল পিছিয়ে পড়া দেশগুলি। কিন্তু সেইসব দেশগুলিতে টিকাকর্মসূচি এখনও তেমন জোরদার নয়। তাই পর্যটন ও ব্যবসা বাণিজ্য শুরু হলে আর্থিক কারণেই সংশ্লিষ্ট দেশগুলি ধনী দেশহুলির জন্য দরজা খুলতে বাধ্য হবে। তাতে নতুন করে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে বলেও মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।