করোনা টিকা নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যের  প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়  কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য টিকা চেয়ে চিঠি অবিলম্বে টিকার ব্যবস্থা করার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর 

আবারও করোনা টিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার তিনি রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য কোনও দরবার করেননি। তাঁর চিঠির মূল কথাই ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের টিকা প্রদান করা। তিনি লিখেছিলেন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা কথা। 

Scroll to load tweet…

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রেলওয়ে, বিমানবন্দর, প্রতিরক্ষাক ব্যাঙ্ক, বিমাকর্মীদের সঙ্গে পোল্ট ও টেলিগ্রাম কর্মীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কোনও রকম দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

Scroll to load tweet…

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলায় টিকা দেওয়ার হার খুবই কম। তবে আক্রান্তের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমছে। এই রাজ্য করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ০.৯ শতাংশ। রাজ্যের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের কালো ছায়া পড়তে শুরু করেছে বলেও বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪। টিকা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন কেন্দ্র যদি টিকার যোগান দেয় তাহলে রাজ্যে তিন মাসের মধ্যেই বাংলার সমস্ত বাসিন্দাদের টিকা দিয়ে দেবে। তিনি টিকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারে বিরুদ্ধে রীতিমত তোপ দাগেন। তিনি বলেন ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী টিকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এখন রাজ্যে টিকার সরবরাহ করা হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

এদিন প্রধানমন্ত্রীর কোভিড বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। বৈঠক শেষ হতেই ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন হাতে প্রশ্ন নিয়ে পুতুলের মত বসেছিলেন। কিন্তু তারপরেই কথা বলার জন্য মাত্র ১ সেকেন্ডও দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ বিজেপি জেলা শাসকদের সামান্য কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় তিনি অপমানিত বোধ করেছেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন একতরফাভাবে অপমান করে যাওয়া হয়েছে এই বৈঠকে। তাঁর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীদের যদি বসার সুযোগই না দেওয়া হয় তাহলে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল কেন। শুধুমাত্র জেলা শাসকদের নিয়েও প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করতে পারেতেন।