সংক্ষিপ্ত

 

  • গ্রামীণ এলাকায় করোনার ছায়া
  • কেন্দ্রে চিঠি রাজ্যগুলিকে 
  • পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রকের চিঠি 
  • ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান 
     

করোনাভাইরাসের প্রথম তরঙ্গে সেভাবে ভারতের গ্রামগুলিকে প্রভাবিত করেনি। গ্রাম থেকে শহর কোভিড ১৯এর দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে গ্রামীণ ভারতে সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকারগুলিকে চিঠি দিয়েছে পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রনালয়। গ্রামীয় এলাকায়তে করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য সবরকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। 
 
কেন্দ্রের পরামর্শ রাজ্যগুলিকে 
সচেতনতা প্রচার 
গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রাচার চালানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক, চিকিৎসক, চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলির পরামর্শকে তুলে ধরার কথা বলা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হলে বা সেরে উঠলে  কী কী  করতে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য গ্রামের মানুষদের কাছে তুলে ধরতে হবে। 

ভল্যান্টিয়ারদের নিয়োগ 
কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রচার অভিযানের জন্য স্থানীয় করোনা-যোদ্ধাদের ব্যবহার করার কথা বলেছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্মী,  শিক্ষক আশা কর্মীদের এই কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ফ্রন্টলাইন করোনা যোদ্ধাদের সাহায্যে অক্সিমিটারের ব্যবহার, এন ৯৫ মাস্কের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করা যেতে পারে। এছাড়াও ইনফ্রারেড থার্মাল স্ক্যানিং, ইন্সট্রুমেন্টস, স্যানিটাইজেশন করার মত জরুরি কাজগুলি করা যেতে পারে বলেও পরামর্শ দিয়েছে। 

গ্রামীণ নাগরিকদের করোনা পরীক্ষা, টিকাদানসহ হাসপাতালে শয্যার উপলভ্যতা নিয়ে যাবতীয় তথ্য যাতে সাধারণ মানুষ দ্রুততার সঙ্গে পান সেদিকেও জোর দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত অফিস, স্কুল, সাধারণ পরিষেবা কেন্দ্র থেকে এই সুবিধে যাতে পাওয়া যায় সেদিকে নজর দেওয়ার কথাও বলেছে। পঞ্চায়েতগুলিকে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে যেসব করোনা রুগি রয়েছে তাদের তথ্য রাখার নির্দেশ দিয়েছে। যেসব এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি সেখানে আলাদা সেন্টার করা যেতে পারে। অভিবাসী শ্রমিকদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। 

রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা 
কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে লেখা চিঠিতে বলেছে, গ্রামীণ এলাকায় ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ওপর জোর দিতে হবে। প্রয়োজনীয় রেশন, পাণীয় জল, স্যানিটাইটারের সরবরাহ করতে হবে। মনরেগা প্রকল্পে কর্ম সংস্থানের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। 
জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায়  কাছের জেলা শহরগুলিতে যাতে গ্রামীণ মানুষ চিকিৎসা পান সেদিয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে।  আক্রান্তের অ্যাম্বুলেন্স পেতে যাতে সমস্যা না হত তাও দেখতে হবে। একই সঙ্গে দরিদ্র আক্রান্তদের করোনা পরীক্ষা ও তার ফল পেতে যেন দেরী না হয়- তার ব্যবস্থা করতে হবে। 

পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রকের সচিব শ্রী সুনীল কুমার রাজ্যগুলিকে ব্লক, জেলা, পঞ্চায়েত, স্বাস্থ্য মন্ত্র ও রাজস্ব, বিভাগের কর্মীদের করোনা মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।