সংক্ষিপ্ত
- করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে
- দৈনিক আক্রান্ত ৩ লক্ষের বেশি
- বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা
- অক্সিজেনে নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্র
সব কিছু ছাপিয়ে যাচ্ছে করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় তরঙ্গ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজারেরও বেশি জনের। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মোট আক্রান্তের সংখ্যা। করোনাভাইরাসের প্রথম তরঙ্গ তুলনায় দ্বিতীয় তরঙ্গ এতটাই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে যাকে তরঙ্গ না বলে সুনামি বলাই শ্রেয় বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। দৈনিক সংক্রমণ বিশেষজ্ঞদের সব হিবেস ওলট পালট করে দিচ্ছে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে আক্রান্ত ২ লক্ষের আসপাশে ছিল। এবার সেই গণ্ডীও অতিক্রম করল দৈনিক সংক্রমণ।
এক নজরে দেশের করোনা চিত্রঃ
এক নজরে দেশের করোনা চিত্রঃ
এক নজরে দেশের করোনা চিত্রঃ
দৈনিক আক্রান্তঃ ৩,১৪,৮৩৫
দৈনিক মৃত্যুঃ ২,১০৪
দৈনিক সুস্থঃ ১,৭৮,৮৪১
মোট আক্রান্তঃ ১,৫৯,৩০,৯৬৫
মোট সুস্থঃ ১,৩৪, ৫৪,৮৮০
মোট মৃত্যুঃ ১,৮৪, ৬৫৭
অ্যাক্টিভকেসঃ ২২.৯১.৪২৮
টিকাকরণঃ ১৩,২৩,৩০,৬৪৪
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন বর্তমানে ভারতে সব থেকে বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।তবে দ্বিতীয় তরঙ্গ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সংক্রমণের মাত্রা আরও বাড়তে বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তবে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তা রীতিমত চাপ বাড়াচ্ছে দেশে স্বাস্থ্য় পরিকাঠামোর ওপর। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্র, দিল্লি, মধ্য প্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব অন্ধ্র প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও দিল্লির অক্সিজেনের কোটা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অক্সিজেনের চাহিদা ও সরবরাহের ওপরেও নজরদারি চালান হচ্ছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
একই দিনে পিতাপুত্রের ভাগ্য পরীক্ষা, শুভ্রাংশুর হাত ধরে ষষ্ঠ দফায় ভোট ময়দানে বিজেপির মুকুল রায় .
করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির মঝ্য সবথেকে বেশিক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র। সংক্রমণের চেইন ভাঙতে বেশকিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। গোটা দেশের সঙ্গে মহারাষ্ট্র গত ৫৬৮ দিন ধরে মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে গতকালই এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড করেছে। আক্রান্ত হয়েছেন, ৬৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। তালিকায় দ্বিতীয় নাম কেরল। তবে দৈনিক সংক্রমণে কেরলের থেকে এগিয়ে রয়েছে উত্তর প্রদেশ ও দিল্লি। করোনাভাইরাসের সংকট রুখতে অক্সিজেন সরবরাহের ওপর যেমন জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তেমনই করোনার গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ রেমডেসিভিরেরও বিদেশে রফতানি বন্ধ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপান হয়েছে। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে প্রথম ঢেউয়ের থেকে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ আরও প্রবল আকার নিয়ে আছড়ে পড়েছে ভারতে।
টিকা নিতে এসে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা, দুয়ারে সরকারের মত বাড়ি বাড়ি টিকা দেওয়ার দাবি জনতার .