সংক্ষিপ্ত
- করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে
- মৃত্যুর হার বাড়ায় উদ্বেগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
- ভারতের পাওয়া করোনা জিন আরও ৫৩টি দেশে
করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন B,1,617 প্রথমে সনাক্ত হয় ভারতে। বর্তমানে করোনাভাইরাসের নতুন এই রূপটি বিশ্বের ৫৩টি দেশে বর্তমান রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাপ্তাহিক এপিজেমিওলজিক্যাল আপডেটে তেমনই দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে গত সাত দিনে ভারতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ শতাংশ হ্রাশ পেয়েছে। তবুও দৈনিক আক্রান্তের পরিসংখ্যনে ভারতেই প্রথম বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২৫ মে প্রকাশিত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ সাপ্তাহিক এপিজেমিওলজিক্যাল আপডেট। তাতেই বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী কোভিড আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে বিশ্বব্যাপী নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৪.১ মিলিয়ন। ও মৃত্যুর সংখ্যা ৮৪ হাজার। যা প্রায় ১৪ শতাংশ আর গত সপ্তাহের তুলনায় ২ শতাংশ কম বলেও দাবি করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে ভারতে প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল কোভিড ১৯এর B,1,617 রূপটি। বর্তমানে যা বিশ্বের ৫৩টি দেশে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, B,1,617 ভাইরাসটি তিনটি বংশে বিভক্ত। সেগুলি হল B.1.617.1, B.1.617.2, B.1.617.3। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে B.1.617.1 পাওয়া গেছে ৪১টি দেশে। B.1.617.2 রূপটি দেখতে পাওয়া গেছে ৫৪টি দেশে। আর শেষ রূপটি এখনও পর্যন্ত মাত্র তিনটি দেশে দেখতে পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথায় করোনার নতুন রূপ আগের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। রোগের তীব্রতা আর পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি কতটা রয়েছে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত গবেষণা করা হচ্ছে বলেও জানান হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে স্বস্তি দিয়ে বলা হয়েছে গত চার সপ্তাহ ধরে করোনা আক্রান্তের প্রবণতা হ্রাস পাচ্ছে। কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আগের তুলনায় মৃত্যুর ঘটনা অনেকটাই বাড়েছে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। প্রায় ৪ শতাংশ বেড়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা ২১ শতাংশ কমেছে। যদিও সার্বিক ভাবে হ্রাস পাচ্ছে।