সংক্ষিপ্ত

  • সংক্রমণ কমছে
  • তাই লকডাউনের নিয়মে আনা হচ্ছে শিথিলতা 
  • বিশেষ ঘোষণা দিল্লি সরকারের
  • ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

সংক্রমণ কমছে। তাই লকডাউনের নিয়মে বেশ কিছু শিথিলতা আনার কথা ঘোষণা। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জারি করা হল নয়া নিয়ম। নয়াদিল্লিতে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে লকডাউন। এবার সেই নিয়মে আরও কিছু শিথিলতা আনার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেজরিওয়াল রবিবার জানান সোমবার থেকে শপিং মল, দোকান ও রেস্তোরার ওপর যে বিধিনিষেধ জারি ছিল, তা তুলে নেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহের প্রত্যেক দিন খোলা রাখা য়াবে দোকান। 

কেজরিওয়াল জানান, যদি পরিস্থিতি আবার খারাপ হয়, তবে ফের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আপাতত লকডাউনের কঠোর বিধি তুলে নেওয়া হয়েছে। দোকান খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। রেস্তোরা খোলা হলেও, সেখানে বসার ব্যবস্থা শারীরিক দূরত্ব মেনে রাখতে হবে। ৫০ শতাংশ উপভোক্তাকে সেই রেস্তোরায় বসার জায়গা দিতে হবে। সাপ্তাহিক বাজার এলাকাতেও ৫০ শতাংশ বিক্রেতা বসতে পারবেন। খুলে দেওয়া হবে ধর্মস্থানও। 

এদিকে, দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণের গতি নিম্নমুখী। প্রতিদিনই কমছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৮৩৪ জন। এর ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯৮৯। ৭১ দিন পর এই প্রথম দেশের দৈনিক সংক্রমণ এতটা কম হল। 

গত কয়েকমাসে দেশে দৈনিক করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এরপর করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে লকডাউনের পথে হেঁটেছিল একাধিক রাজ্য। এখনও বেশ কয়েকটি রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। আর তারপরই ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে সংক্রমণ। তবে দৈনিক সংক্রমণের উপর কিছুটা রাশ টানা গেলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনায় আক্রান্তদের মৃত্যু। 

শনিবার করোনায় আক্রান্তদের মৃত্যু ৪ হাজার পেরিয়ে গিয়েছিল। আর সেখানে রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩০৩জন। এর ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ লক্ষ ৭০ হাজার ৩৮৪।