সংক্ষিপ্ত
- বাড়ি বসে কাজ করতে গিয়েই করোনার দুশ্চিন্তায় অনেকেই আতঙ্কিত
- তবে প্যানিক না করে ঠান্ডা মাথায় কাজ করাটায় শ্রেয়
- সংযোগ স্থাপনের সবথেকে জরুরি মাধ্যম হল হোয়াটসঅ্যাপ
- অফিস টাইমের শেষে সেই অ্যাকাউন্ট মিউট করেও রাখতে পারেন
এই করোনা সেকেন্ড ওয়েভের আতঙ্ক এখন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। আতঙ্কের আর এক নাম করোনা। একের পর এক শহরে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ। ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাস মহামারির আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে সকলেই মরিয়া হয়ে উঠেছেন। করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে বাড়ি বসে কাজ করতে গিয়েই করোনার দুশ্চিন্তায় অনেকেই আতঙ্কিত। তবে প্যানিক না করে ঠান্ডা মাথায় কাজ করাটায় শ্রেয়। তাই বাড়িতে বসে কাজ করার আগে কীভাবে অফিসের পরিস্থিতি সামলাবেন,তার আগে মাথায় রাখুন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি।
নতুন গ্রুপ বানান
অফিসে যাদের সঙ্গে সবথেকে বেশি যোগাযোগ করার প্রয়োজন হয়, তাদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে নিন। যদি আপনি একাধিক বিভাগের দায়িত্বে থাকেন তাহলে আলাদা আলাদা গ্রুপ বানিয়ে নিন। এতে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং কাজ ভাগ করে নিতে সুবিধা হবে। সেই সঙ্গে কারা কী কাজ করছে, সেই আপডেটও অনায়াসে পেয়ে যাবেন। হয়তো একই কাজ দুজন করছে, সেটা যাতে না হয় তার খবরও পেয়ে যাবেন।
দুটো হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট করুন
ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবন আলাদা রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাই ব্যক্তিগত নাম্বার ব্যবহার না করে কাজের জন্য আলাদা নাম্বার ব্যবহার করুন। এমনকী অফিস টাইমের শেষে সেই অ্যাকাউন্টটি মিউট করেও রাখতে পারেন।
গ্রুপ ভয়েস কল
হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ ভয়েস কল আপনার কাজ আরও সহজ করে দেবে। এতে যেমন সকলের সঙ্গে একসঙ্গে কথা বলা যাবে তেমনি কর্মীরাও অন্যদের কাজ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে পারবেন। তবে শুধু ভয়েস কল নয়, ভিডিও কল করেও কর্মীদের কাজ বুঝিয়ে দিতে পারবেন অনায়াসে।
ওয়েব ব্যবহার করুন
ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে হোয়াটসঅ্যাপ অন করে নিলে মেসেজ করতে বা পড়তে আরও সুবিধা হবে। এতে কাজের মধ্যে বারবার স্মার্টফোনের দিকে তাকাতে হবে না। এবং যার ফলে মনোসংযোগও নষ্ট হবে না।