সংক্ষিপ্ত
- ঝাড়খণ্ডের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক
- বাবুলাল মারান্ডি নিশানা করেন হেমন্ত সোরেনকে
- হেমন্ত সোরেন নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রীকে
- কালই প্রধামমন্ত্রী কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে
ক্রমশই সংকটজনক হচ্ছে ঝাড়খণ্ডের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত পরিস্থিতি। শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৩ হাজারের বেশি। দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যন সাড়ে ৫ হাজারেরবেশি। তবে এই রাজ্যের দৈনিক মৃত্যু রীতিমত চিন্তায় ফেলেছে স্থানীয় প্রশাসনকে। গত ২৪ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৪১ জনের। এপর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। রাজ্যের এই করোনার করুণ পরিস্থিতির জন্য ঝাড়খণ্ডের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে সরাসরি দায়ি করেন। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বাবুলাল মারান্ডি বলেছেন হেমন্ত সোরন একজন অসফল মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনার সূত্রপাত অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে করা হেমন্ত সোরেনের টুইট থেকেই।
গতকাল করোনা-ম
মহামারির পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চার রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। চার রাজ্যের তালিকায় নাম ছিল ঝাড়খণ্ডেরও। প্রধানমন্ত্রী ঝাড়খণ্ডের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে। আর প্রধানন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে রীতিমত প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন। হিন্দিতে করা টুইটে ঝাড়খণ্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফোনে আমাকে নিজের মনের কথা (মন কি বাত) বলেছেন। আপনি যদি কাজের কথা বলতেন বা কাজের কথা শুনতেন তাহলে ভালোহত।'
হেমন্ত সোরেন রাতের দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মতামত দেন। আর শুক্রবার সকাল থেকেই বিষয়টিতে হাতিয়ার করে তাঁকেই নিশানা করতে উদ্যোগ নেন বাবুলাল মারান্ডি। বিজেপির হাত ধরে তিনি প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের। সেই বাবুলার মারান্ডি এদিন প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে রীতিমত কটাক্ষ করে অসফল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চিহ্নিত করেন হেমন্ত সোরেনকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বাবুলাল মারান্ডি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পুরোপুরি অসফল হেমন্ত সোরেন। তাঁর সরকার অসফল। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য কিছুই করতে পারেনি। মানুষকে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতা আড়াল করতে তিনি তাঁর অফিসটি ধরে রেখেছেন তা এবার ভেবে দেখতে হবে।' সময় চলে যাচ্ছে বলে কটাক্ষ করে হেমন্ত সোরেনকে ঘুম থেকে দ্রুত উঠে কজ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি।
স্বামীর ফেলে যাওয়া আসন থেকে জয়ী রত্না ও করবী, রেকর্ড গড়লেন বেচারাম ও দুলাল ...
করোনাকালে সুখবর, দেশে সঠিক সময় বর্ষা আসবে বলে জানিয়েছে IMD ...
কঠিন এই পরিস্থিতিতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ঝাড়খণ্ডে একদিনে করোনা মহামারির চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে বর্তমান প্রশাসন হেমন্ত সোরেনে দিকে। অন্যদিকে তাঁকে পথ দেখানোর পরিবর্ততে রাজনীতিতেই মনোনিবেশ করেছেন তাঁর প্রাক্তন তথা বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। গোটা পরিস্থিতির চাপ কাটিয়ে হেমন্ত সোরেন রাজ্যের মানুষের কাথে কতটা সাহায্য পৌঁছে দিতে পারবে তাই এখন দেখার। হেমন্ত সোরেনের ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খুবই খারাপ। ঝাড়খণ্ড প্রথম ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের তালিকায় রয়েছে যেখানে করোনার কারণে দৈনিক মৃত্যুর পরিসংখ্যন প্রায় ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। যা নিয়ে কিছুটা হলেও অসন্তোষ রয়েছে হেমন্ত সোরেনের মধ্য।