সংক্ষিপ্ত

২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে এই সমীক্ষা চালান হয়েছিল। ১৬৪ জন HIV বা AIDS আক্রান্ত রোগীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, যাঁদের গড় বয়স ছিল ৪১ এর মধ্যে। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী ১৬৪ জনের মধ্যে মাত্র ২৩ জন অর্থাৎ ১৪ শতাংশ রোগীর দেহেই অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।

HIV বা AIDS আক্রান্তরা দেশের বাকি মানুষদের তুলনায় অনেকটাই কম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।- এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে দিল্লির অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল সায়েন্সের (AIMS)এর সম্প্রতি একটি গবেষণায়। কারণ প্রথম দিকে চিকিৎসকরা মনে করেছিলেন সাধারণের তুলনায় এজাতীয় রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই HIV বা AIDS আক্রান্তদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গবেষকরা দেখেছেন এজাতীয় রোগীদের শরীরে সরোপ্রেভ্যালেন্স বা অ্যান্টিবডিগুলির উপস্থিতি কম। যার অর্থ হল এজাতীয় রোগীরা কম আক্রান্ত হয়েছেন। 

২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে এই সমীক্ষা চালান হয়েছিল। ১৬৪ জন HIV বা AIDS আক্রান্ত রোগীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, যাঁদের গড় বয়স ছিল ৪১ এর মধ্যে। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী ১৬৪ জনের মধ্যে মাত্র ২৩ জন অর্থাৎ ১৪ শতাংশ রোগীর দেহেই অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। তবে এখনও সমীক্ষা শেষ হয়নি বলেও জানান হয়েছে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, সেরোপোসিটিভ রোগীদের মধ্যে কোভিড ১৯এর নূন্যতম লক্ষণ অনুভূত হয়নি। হলেও তার লক্ষণ খুবই সামান্য ছিল। 

তবে গবেষণায় আরও একটি দিকে আলোকপাত করা হয়েছে, যেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেও মেন করছেন চিকিৎসকরা। সেটি হল, HIV বা AIDS আক্রান্ত রোগীরা করোনা-কালে রীতিমত আতঙ্ক হয়ে রয়েছেন। সেই কারণেই অধিকাংশ এজাতীয় রোগী বাড়িতেই থাকছেন। তাঁরা খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে পা রাখছেন না। নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছেন। বাইরে বার হলেও মেনে চলছেন করোনা প্রোটোকলগুলি। তাই কারণে তাঁদের মধ্যে রোগের প্রাদুর্ভাব কম বলেও মনে করছেন অনেকে। 

গবেষণায় বলা হয়েছে এজাতীয় রোগীরা অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারেন না। অ্যান্টিবডি তৈরি হলেও তা এদের শরীর ক্ষণস্থায়ী। তবে HIV বা AIDS আক্রান্ত রোগীরা যেন করোনাভাইরাসকে হালকাভাবে না নেন সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে গবেষণা রিপোর্টে। যে সময় এই গবেষণা শুরু হয়েছিল সেই সময় দিল্লিতে সিরোপোসিটিভিটি ছিল ২৫ শতাংশ। বর্তমান সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী দিল্লির প্রায় ২৩ শতাংশ মানুষই কোভিড ১৯এর সংস্পর্শে এসেছেন।