সংক্ষিপ্ত

এনকে অরোরার কথায় এখনও দেশের ৪-৫ কোটি গর্ভাবতী মহিলার মাধ্যে মাত্র ১০ শতাংশের টিকাকরণ হয়েছে। যার অর্থ এখনও পর্যন্ত ৪ কোটি মহিলা টিকা পাননি। যাঁরা রীতিমত দুর্বল, এই অবস্থাতেও তাঁরা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।


কোভিড -১৯ (Covid-19) এর বুস্টার ডোজ (Booster Dose) কতটা গুরুত্বপূর্ণ- সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন নীতি আয়োগের সদস্য ও দেশের টিকা প্যানেলের প্রধান এনকে অরোরা। সম্প্রতি তিনি বলেছেন বুস্টার ডোজের পিছনে বিজ্ঞান  সম্পর্কে এখনও অনেকটা তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন রয়েছে। এখনই তিনি বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। 

এনকে অরোরার কথায় এখনও দেশের ৪-৫ কোটি গর্ভাবতী মহিলার মাধ্যে মাত্র ১০ শতাংশের টিকাকরণ হয়েছে। যার অর্থ এখনও পর্যন্ত ৪ কোটি মহিলা টিকা পাননি। যাঁরা রীতিমত দুর্বল, এই অবস্থাতেও তাঁরা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। ভারতের বুস্টার ডোজের কৌশল সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ওমিক্রন সম্পর্কে নির্দিষ্ট ধারনা করতে আরও দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। ওমিক্রনের দাপটের কারণ তুলেই বুস্টার শট দেওয়ার দাবি জোরালো হয়েছে। 

নীতি আয়োগের সদস্য জানিয়েছেন ইসরায়েল বা জার্মানির মত দেশগুলি ইতিমধ্যেই কোভিড-১৯ সম্পর্কিত টিকার চারটি ডোজ দিয়েছে। ব্রিটেন ও কানাডাও চতুর্থ ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশগুলিতে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই তথ্য দিয়ে তিনি তড়িঘড়ি বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর কথায় বুস্টার ডোজের জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করাই শ্রেয়। তবে যাদের বুস্টার শট সব থেকে বেশি প্রয়োজন তাদের আগে টিকা দেওয়া জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

নীতি আয়োগের পক্ষ থেকে গর্ভাবতী মহিলারা টিকা নিয়ে চাইছেন না বা ভয় পাচ্ছেন। তাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বলেও জানিয়েছেন তিনি। ভারতে তিন কোটি মহিলা গর্ভাবতী। আরও দেড় কোটি মহিলা সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। সবমিলিয়ে মাত্র ১০ শতাংশ মহিলা টিকা নিয়েছেন। তাই সংখ্যাটা নিতান্তই কম। এই অবস্থায় গর্ভাবতী মহিলাদের টিকা নিতে এগিয়ে আসা উচিৎ বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মহিলারা গর্ভাবস্থা অনেক দুর্বল হয়ে যায়। তাই এই অবস্থায় করোনার বিরুদ্ধে লড়াই অনেকটাই কঠিন হয়ে যায়। তাই তিনি মহিলাদের দ্রুত টিকা নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন। 

নীতি আয়োগের পক্ষ থেকে আগেই জানান হয়েছে, গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের করোনাক বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এটি সেই টিকাই হবে যেটি প্রথমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি দ্রুত শিশুদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিন থেকেই ১৫-১৮ বছর বয়সীরা টিকা পেয়েছে। এই সিদ্ধান্তের নেওয়ার কারণ জানিয়েছেন তিনি। প্রাপ্তবয়স্কদের মতই এদের চলাফেরা বেশি। তাই আগে এই বয়সের তরুণদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত ১২ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ধীরে ধীরে সমস্ত শিশুদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। ভারতে সবমিলিয়ে ৪৪ কোটি শিশু রয়েছে। 

Covid Vaccine: দ্রুত কোভিড-টিকা দিতে আর্জি কমিশনের, ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি

IIT Kharagpur: খড়গপুর আইআইটিতে করোনার কালো ছায়া, একসঙ্গে আক্রান্ত ৩১ জন