সংক্ষিপ্ত
কমিশন গত সপ্তাহেই লখনউতে একটি সাংবাদি সম্মেলনে ভোটমুখী রাজ্যগুতিতে টিকা কর্মসূচির ওপর জোর দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যনির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র বলেছিলেন কমিশন রাজ্যগুলিকে টিকার কভারেজ বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ করতে বলেছেন। কিন্তু এবার আর মৌখিক নয়, লিখিত আবেদন জানিয়েছে টিকার কভারেজ নিয়ে।
ভারতে দ্রুতহারে বাড়ছে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ। এই অবস্থায় ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কোভিডবিধি (Covid Rule) মেনে নির্বাচন হলেও এখনও থেকে ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের (Poll Bound 5 State) মুখ্যসচিবদের এখন থেকেই সতর্ক করেছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে চিঠি লিখে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে টিকা প্রদানের হার বাড়ানোর আর্জি জানান হয়েছে।
কমিশন গত সপ্তাহেই লখনউতে একটি সাংবাদি সম্মেলনে ভোটমুখী রাজ্যগুতিতে টিকা কর্মসূচির ওপর জোর দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যনির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র বলেছিলেন কমিশন রাজ্যগুলিকে টিকার কভারেজ বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ করতে বলেছেন। কিন্তু এবার আর মৌখিক নয়, লিখিত আবেদন জানিয়েছে টিকার কভারেজ নিয়ে।
প্রথম তিন মাসের মধ্যেই উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন হওয়াক কথা রয়েছে। সেইমত রাজনৈতিক দলগুলি প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। শাসক বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি একের পর এক জনসমাবেশ করেছে। সেখানে কোভিড বিধি মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। উত্তর প্রদেশের নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে কোভিড প্রোটোকল মেনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক তেমবই আবেদন জানিয়েছে সব রাজনৈতিক দলগুলি।
দেশে করোনা পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে কিনা তা নিয়ে জানতে চাইলে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী কমিশনা তার ওপর যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করবে। সেই দায়িত্ব পালনের সময় যা বিবেচনা করার তাই করবে। তবে ক্রমবর্ধমান কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনা করে জনসভা নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত কমিশন নিতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের ৮৬ শতাংশ মানুষের কোভিডের প্রথম ও ৪৯ শতাংশ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্য দ্রুত হারে টিকা দেওয়া হলে বিপদ অনেকটা কেটে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। গত সপ্তাহেই নির্বাচন কমিশন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট সুষ্টুভাবে করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রক উত্তর প্রদেশে বিভাগীয় দলও পাঠিয়েছিল কারণ দুটি রাজ্যেই টিকা প্রদানের হার অনেকটাই কম ছিল।
ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন এনসিবি, বিএসএফ, আইটিবিপি-র সঙ্গে বৈঠক করছে। নিরাপত্তা বাহিনীকে ভোটকেন্দ্রীয় সীমান্ত এলাকায় আরও কড়া নজরদারী চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন এনসিবি কর্মকর্তাদের পঞ্জাব ও গোয়ার মত রাজ্যদুটিতে মাদকের প্রভাব পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে। ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে যাতে মাদক পাচার না হয় তার দিকেও কড়া নিয়ন্ত্রণ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে।
Lokayukt নিয়োগ নিয়ে টুইট করে বিতর্ক বাড়ালেন রাজ্যপাল, মমতার সঙ্গে শুভেন্দুকেও নিশানা অধিকারকর্মীর
PM Modi To Visit Punjab সড়ক-রেলপথ-হাসপাতাল, প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতে একাধিক প্রকল্পের সূচনা