সংক্ষিপ্ত

এক বছরের কিছু বেশি সময় ধরে দেশ জুড়ে চলছে করোনার টিকাকরণ। এরই মধ্যে ৭৫ শতাংশ যোগ্য ভারতীয় টিকা পেয়েছেন। 

এক বছরের কিছু বেশি সময় ধরে দেশ জুড়ে চলছে করোনার টিকাকরণ। এরই মধ্যে ৭৫ শতাংশ (Over 75 per cent) যোগ্য ভারতীয় টিকা পেয়েছেন (eligible Indians fully vaccinated)। রবিবার টুইট করে এই তথ্য দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। তিনি বলেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ এক মাইলস্টোন।  এই জনসংখ্যা টিকার দুটি ডোজই পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মোদী। 

এদিন তিনি বলেন "সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের ৭৫% সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ কৃতিত্বের জন্য আমাদের সহ নাগরিকদের অভিনন্দন। যারা আমাদের টিকা অভিযানকে সফল করে তুলছেন তাদের জন্য গর্বিত।"

এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য টুইট করে জানান "আমরা COVID-19-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছি। আমাদের সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন পেতে হবে,"

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ২.৩৪ লক্ষ মানুষ করোনার কবলে পড়েছেন। মারা গিয়েছেন ৮৯৩ জন। এসবের মাঝে দেখা গেছে, মহারাষ্ট্র ছাড়াও দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। ভারতের জনসংখ্যার ৯.৩ শতাংশ মহারাষ্ট্রের। এখানে ১৮.৮ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যেখানে এই রাজ্যে করোনার কারণে ২৮.৯ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। 

একইভাবে, ভারতের জনসংখ্যার ২.৮ শতাংশ কেরলে বাস করে। এখানেও ১৪.৩ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যটি ১০.৬ শতাংশ মৃত্যুর সাক্ষী। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশ দেশের মোট জনসংখ্যার ১৬.৫% বাস করে। এখানে মাত্র ৪.৯ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং ৪.৭ শতাংশ মারা গেছে। অন্যদিকে বিহারে দেশের জনসংখ্যার ৮.৬ শতাংশ মানুষ থাকা সত্ত্বেও, দুই শতাংশ মানুষ সংক্রামিত হয়েছেন। পাশাপাশি ২.৫ শতাংশ মারা গিয়েছিল। 

অন্যদিকে করোনাকে বাগে আনতে গোটা দেশেই জোরকদমে চলছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যেই দেশের যোগ্য প্রাপ্ত বয়ষ্কদের সিংহভাগেরই টিকারণ হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে শিশুদের টিকাকরণ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে দেশে। এদিকে এদিনই আবার ভারতে করোনা সংক্রমণ প্রায় দুই বছর পূর্ণ হল। আজ থেকে দু বছর আগে এদিনই প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। তারপর থেকে, করোনার তিনটি রূপ সামনে এসেছে, যার মধ্যে ডেল্টাই সবচেয়ে বেশি ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়েছিল গোটা দেশে। যদিও Omicron রূপটিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। 
 
করোনাভাইরাসের (Coronavirus) প্রবল সংক্রমণ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওমিক্রন (Omicron) কোভিড-১৯ (COVID-19) সর্বশেষ রূপ। এই ধারনা একেবারেই ঠিক নয়। কোভিড -১৯ মহামারি কীভাবে শুরু হতে পারে, কীভাবে তীব্র পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে আর কীভাবে এটি শেষ হবে- তার ধারনা আগে থেকে করা সম্ভব নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বলা হয়েছে, ওমিক্রনই করোনার শেষ রূপ (Covid's Last Variant)। আমরা মহামারির শেষ পর্যায়ে রয়েছি- এই ধারনা করা ঠিক নয়।