সংক্ষিপ্ত
করোনা বিধি অমান্য করে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে ক্রমশই বাড়ছে ভিড়। রবিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ দেখালেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
থার্ড ওয়েবের হাতছানি। এদিকে, করোনা বিধি অমান্য করে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে ক্রমশই বাড়ছে ভিড়। বাদুড় ঝোলা অবস্থায় যাতায়াত চলছে ট্রেনে। এই পরিস্থিতি হয় প্রায় প্রতিদিনই। ফলে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হতে বেশি সময় লাগবে না, এমনই দাবি করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ দেখালেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্বাস্থ্যকর্মীরা বহরমপুর স্টেশন থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ, জিয়াগঞ্জ একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।এই ব্যাপারে রেল দপ্তরের কোনও রকম ভ্রূক্ষেপ নেই বলেও মন্তব্য করেন জেলার নিত্যযাত্রী স্বাস্থ্য কর্মীরা ।
ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে থার্ড ওয়েবের হাতছানি। তারই মধ্যে করোনা বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠে পড়ছে সাধারণ মানুষ থেকে রোগী ও তার পরিবারের সদস্য সকলেই।এদিকে যাদের জন্য ওই ট্রেন চলাচল করছে, তারা ট্রেনে চেপে বসবার জায়গা টুকুও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে রবিবার নিত্য যাত্রী স্বাস্থ্যকর্মীরা বিক্ষোভ দেখান।
এদিকে এই বিষয়ে বহরমপুর স্টেশন ম্যানেজারকে ফোন করা হলে তিনি কোনও উত্তর না দিয়েই ফোন কেটে দেন, পরবর্তীতে তিনি আর ফোন ধরেননি। করোনা পরিস্থিতিতে লালগোলা – শিয়ালদা শাখায় সাধারন যাত্রীদের জন্য ভাগীরথী এক্সপ্রেস ও হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস চলাচল করছে। মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে মঙ্গলবার থেকে আগের মতই চলতে থাকবে কলকাতা - লালগোলা ধনেধান্য এক্সপ্রেস।
ওই শাখায় রানাঘাট থেকে লালগোলার মধ্যে স্টাফ স্পেশাল মোট চার জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। করোনা বিধি শিথিল হতেই ওই স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে রীতি মত ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। অভিযোগ কোনও নিয়ম নীতি না মেনে শুধুমাত্র চাকুরিজীবিদের জন্য চলা ওই ট্রেনে উঠে পড়ছেন সাধারণ যাত্রী। ওই সব যাত্রীদের বেশির ভাগ মাস্ক ব্যবহার করেন না, আবার দূরত্ব বিধি মেনে চলার কোন প্রশ্নই নেই । এই পরিস্থিতিতে জরুরী পরিষেবা প্রদানকারী বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্মীদের ট্রেনে উঠে বসবার জায়গা মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ব্যাপারে স্বাস্থ্যকর্মী প্রিয়াঙ্কা দাস, রহমান শেখরা বলেন, “ স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে বিশেষ আইডেন্টিটি কার্ড করে তবেই আমরা ট্রেনে চেপে যাত্রা করার সুযোগ পেয়েছি। অথচ এখন অবলীলায় সাধারণ যাত্রীরা ট্রেনে ভ্রমণ করছেন, ফলে আমরা ট্রেনে উঠে দাঁড়াবার জায়গা পাচ্ছি না।” এই বিষয়ে স্থানীয় স্টেশান মাস্টারকে জানিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন মেহেবুব আলম,সঞ্জয় সাহাদের মতো একাধিক স্বাস্থ্য কর্মী। এদিকে নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক রেল পুলিশ বলেন, যেভাবে ট্রেনে সাধারন মানুষের ভীড় বাড়ছে তাতে এখনই পদক্ষেপ না করলে ট্রেনের যাত্রা পথে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে।