সংক্ষিপ্ত

রাজ্যে ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতিতে শিশুর উপর সংক্রমণের প্রভাব এড়াতে কেবল রাখতে হবে কড়া নজর।  সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন -র একটি গবেষণা পত্র বলছে, কোভিডের পরে ১৮ বছরের কমবয়সীদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা ৩০ শতাংশ বেড়েছে। 

রাজ্যে ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতিতে শিশুর (Child) উপর সংক্রমণের প্রভাব এড়াতে কেবল রাখতে হবে কড়া নজর (Post Covid Care) । উল্লেখ্য, রাজ্যে ২০২১ সালে একবার হইহই রব উঠেছিল, যে ওই এল কোভিড ভাইরাসের নতুন রূপ। যা শিশুদের আঘাত করবে। তবে একথা সত্যি যে, একুশে পুজোর আগে কয়েক হাজার শিশু আক্রান্ত হয়। তবে কোভিডে নয়, অজানা জ্বরে। এবার প্রশ্নটা উঠেছে, তাহলে বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যতবাণী অনুযায়ী এখনও তা হয়নি। তবে তা না হোক, সবাই চায় তেমনটাই। কিন্তু ২০২২ সালে পা দিতেই যেভাবে চোখ রাঙানো শুরু করেছে ওমিক্রন, সেখান থেকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব শিশুদের। শহরের চিকিৎসকদের একাংশের উত্তর, সন্তানের উপর কড়া নজর রাখতে হবে। চোখ-কান খোলা রাখলেই এড়ানো সম্ভব কোভিডকেও (Covid)।

করোনা ভাইরাসের প্রভাব শিশুদের শরীরে কতটা ?

অনেকক্ষেত্রেই এমন হয়েছে, খারাপ আবহাওয়া, তাই বোধহয় হাঁচি, কাশি, গা-গরম হচ্ছে। এমনই ভূল ধারণা নিয়ে সন্তানের অভিভাবকেরা অনেকসময় জানতেই পারছেন না, আদৌ শিশুটির কী হয়েছে। সেও সংক্রমিত হয়েছে কিনা, জানার উপায় কমছে। কারণ করোনা পরীক্ষাটাই করানো হয়নি শিশুটিকে। আর এখানেই শিশুটির মেডিক্যাল হিস্ট্রি চাপা পড়ে যাচ্ছে। তাই জ্বর, হাঁচি, কাশি, মাথা ব্যাথা, ঘুমের মধ্যে প্রসাব করে ফেলা, পেটখারাপ এবং খাওয়ার পরেও ওজন না বাড়লে তৎক্ষণাৎ নিকটবর্তী চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রভাব শিশুদের শরীরে কতটা পড়ছে। এই প্রশ্ন উঠতেই, তৃতীয় ঢেউয়ে সারা বিশ্বেই আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রকাশ্য়ে এসেছে। তবে তাঁদের শরীরে করোনা কী দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে, তা পুরোটাই দাঁড়িয়ে রয়েছে গবেষণার উপরে।

আরও পড়ুন, ওমিক্রন-ডেলটার উপর কার্যকরী কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ, স্পষ্ট করল ভারত বায়োটেক

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আছে কি ?

বিশ্বে তৃতীয় ঢেউয়ের পর সংক্রমিত শিশুদের নিয়ে ইতিমধ্যেই সমীক্ষা শুরু হয়েছে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন -র একটি গবেষণা পত্র বলছে, কোভিডের পরে ১৮ বছরের কমবয়সীদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা ৩০ শতাংশ বেড়েছে। যদিও এই নিয়ে বিস্মিত নন শহরের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। কারণ তাঁদের মতে,' যে কোনও ভাইরাস আক্রমণেই ডায়াবেটিস হতে পারে। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের কারণ নির্দিষ্ট না করা গেলেও ভাইরাসের আক্রমণেই সেটা হয়', বলে দাবি এসএসকেম-র চিকিৎসকের। তাঁর আরও দাবি, 'করোনা আক্রান্ত শিশুদের প্রধানতা স্থূলতা ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়ায়। তাই ওষুধ এবং খাদ্য তালিকা মেনে ওজন কমাতে হবে। শিশুর ফের জ্বর দেখলে রক্তের শর্করা পরীক্ষার কথা ভাবতে হবে। তাই সে যত ছোট শিশুই হোক।'