সংক্ষিপ্ত
- শিশুদের জন্য করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল
- বুধবার থেকে কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল শুরু
- ২ থেকে ১৮ বছর বয়েসীদের ওপর ট্রায়াল
- পাটনার এইমসে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে
করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে শিশুদের। দিন কয়েক আগেই এক রিপোর্ট পেশ করে একথা জানিয়েছিল এসবিআই ইকোব়্যাপ। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয় ৯৮ দিন ধরে চলবে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ। এই তরঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা, যেমনটা দেখা গিয়েছিল দ্বিতীয় তরঙ্গের ক্ষেত্রে। প্রথম তরঙ্গে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার খবর সেভাবে মেলেনি। যা দ্বিতীয় তরঙ্গ থেকে শুরু হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে শিশুদের জন্য করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হল বুধবার থেকে। গত মাসেই ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ২ থেকে ১৮ বছর বয়েসীদের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করার অনুমতি দেয়। সেই অনুমতি সাপেক্ষে কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল শুরু হল ২ বছর থেকে ১৮ বছর বয়েসীদের। এইমসে শুরু হয়েছে ট্রায়াল।
বুধবার থেকে পাটনার এইমস হাসপাতালে কোভ্যাক্সিনের শিশুদের জন্য ট্রায়াল চালু করা হয়েছে। পাটনার এইমসের সুপার সি এম সিং জানান, ৭০ থেকে ৮০ জন কিশোরকে ট্রায়ালের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের ট্রায়ালের আগে আরটি পিসিআর টেস্ট করা হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই তারা ট্রায়ালে অংশ নিতে পারবে। এমনকী যদি তাঁরা আগে করোনা আক্রান্ত হয়, তবু এই ট্রায়ালে অংশ নিতে পারবে না।
শিশুদের করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের আবেদন জানিয়েছিল ভারত বায়োটেক। এক বিশেষ বৈঠকের পর সেই আবেদনে অনুমতি মেলে। এদিকে, করোনা ভাইরাসের নতুন টার্গেট শিশুরা। বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায় করোনা ভাইরাসের জিন পরিবর্তিত হয়েছে। আর নতুন এই স্ট্রেইনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১০ রাজ্যের জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীদেরও।
কোভিড পর্যালোচনার সেই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জেলা শাসকদের নির্দেশ দেন কোভিডে আক্রান্ত শিশু ও তরুণদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। একই সঙ্গে করোনা-টিকার অপচয় যাতে না হয় তার জন্যও জেলা শাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ভাইরাসটি রূপান্তরিত হওয়ার কারণে তরুণ ও শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। যা রীতিমত উদ্বেগের বিষয়। সেই কারণেই জেলার সমস্ত শিশু ও কিশোরদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে তা পর্যালোচনাও করতে হবে হবে। তেমনই নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
মহারাষ্ট্র, কেরল, উত্তর প্রদেশ পশ্চিমবঙ্গসহ একাধিক রাজ্যের জেলা শাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ মোকাবিলা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা দেশেই ভ্যাকসিন সরবরাহ বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে বলেও জানান।