সংক্ষিপ্ত
দৈনিক পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ১০.২১ শতাংশ। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৯০ হাজার ৬১১।
রবিবার (Sunday) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) পরিসংখ্যান (Report) অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত (Corona Positive) হয়েছেন ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৩২ জন। শনিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৯৮৬। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩২৭ জনের।
করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪০ হাজার ৮৬৩ জন। দৈনিক পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ১০.২১ শতাংশ। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৯০ হাজার ৬১১। করোনাকে জয় করে দেশে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬০৩ জন। করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ৭৯০।
১. প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার পর্যালোচনা বৈঠক করেন। ওমিক্রনের (Omicron) কারণে দেশে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, ওষুধ অক্সিজেন সরবরাহের প্রস্তুতি, দেশে টিকা অভিযান- সবকিছু খতিয়ে দেখতে বৈঠক করেন। একই সঙ্গে ওমিক্রনের কারণে যে দেশে কোভিড-১৯ (Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাও মূল্যায়ন করেন।
২. রবিবার দিল্লিতে ২২৭৫১টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে যা ইতিবাচকতার হারকে উদ্বেগজনক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে রবিবার করোনা পজেটিভির হার ছিল ২৩ শতাংশ। রবিবার গুরুগ্রামে নতুন করে ২৩৩৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে।
৩. রবিবার দিল্লি সরকার জানিয়েছে রাজধানীতে কোনও লকডাউন থাকবে না। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন "ক্রমবর্ধমান কোভিড কেস একটি উদ্বেগের বিষয়, তবে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। খুব কম লোকই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। মাস্ক পরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি মাস্ক পরে থাকেন, তাহলে কোনও লকডাউনের মুখে পড়তে হবে না।”
৪.রবিবার তামিলনাড়ুতে ১২৮৯৫টি কোভিড কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন এর মধ্যে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ করোনা আক্রান্ত ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের ছিল। বাকি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছিল।
৫. কর্ণাটকে রবিবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার জন। ৪জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সেরাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০,৫১,৯৫৮তে পৌঁছেছে। মৃতের সংখ্যা ৩৮,৩৭০য়ে পৌঁছেছে।
৬. পশ্চিমবঙ্গ এক দিনের করোনা সংক্রমণের সব আগের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এবং সর্বকালের সর্বোচ্চ ২৪,২৮৭জন নতুন করে করোনা আক্রান্তের খবর দিয়েছে। যা ২০২০ সালে সংক্রমণের প্রথম তরঙ্গের পরে সর্বোচ্চ।
৭. হিমাচল প্রদেশ সরকার রবিবার ২৪শে জানুয়ারী পর্যন্ত সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করেছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে ১০০ জনের বেশি এবং আউটডোর একাডেমিক, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য ৩০০ জনের বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে।
৮. সোমবার থেকে মহারাষ্ট্রে 'অপ্রয়োজনীয় ভিড়' এড়াতে রাতের কারফিউ এবং অন্যান্য বিধিনিষেধ শুরু হবে। রবিবার দিল্লি, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু আংশিক নিষেধাজ্ঞার অধীনে ছিল।
৯. ওমিক্রন এখন সারা দেশে প্রভাবশালী ভেরিয়েন্ট, রিপোর্টে বলা হয়েছে। কিছু দিন আগে পর্যন্ত, এটি শুধুমাত্র দেশের পশ্চিম অঞ্চলেই ছিল। উত্তর পূর্ব রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড় ও ওডিশায় ডেল্টা রূপটির প্রাধান্য ছিল। এখন ওমিক্রন এই অংশগুলিতেও প্রভাবশালী হিসাবে দেখা দিয়েছে, যা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
১০. যদিও ওমিক্রন কোনো শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি না করেই হালকা উপসর্গ তৈরি করছে বলে মনে করা হয়েছিল, তবে চিকিৎসকরা এখন ওমিক্রন-সংক্রমিত শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে লক্ষণের কিছু পরিবর্তনের কথা বলছেন। স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক পালমোনোলজিস্ট ডাঃ ধীরেন গুপ্ত বলেছেন যে তিনি কমপক্ষে নয়টি ক্ষেত্রে উচ্চ তারমাত্রায় জ্বর এবং কাঁপুনি দেখেছেন।