সংক্ষিপ্ত

আসন্ন করোনার তৃতীয় ঢেউ। করোনা ভ্যাকসিন নিতে অনীহা। ঠিক সময়ে ভ্যাকসিন না নিলে হতে পারে কী ক্ষতি? কী বলছেন চিকিৎসকরা?

অপেক্ষার আরো মাত্র এক মাস তারপরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এরই মধ্যে আসন্ন করোনার তৃতীয় ঢেউ। তবু দূর হয় নি ভ্যাকসিন নেওয়ার অনীহা। কেউ বলছেন "ভ্যাকসিন নিয়ে কি লাভ? করোনাকে আটকাতে তো পারছে না ভ্যাকসিন। তাহলে ভ্যাকসিন নিয়ে কী হবে?" কেউ আবার বলছেন "একটা ডোজ তো নেওয়া হয়েছে আর না নিলেও ক্ষতি নেই।" তবে ঠিক সময়ে ভ্যাকসিনের পরের ডোজটি না নিলে কী কী সমস্যা হতে পারে বা ভ্যাকসিন নেওয়া কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে এখন ও সঠিক ধারণার অভাব রয়েছে অনেকের মধ্যেই।

আরও পড়ুন-মরণাপন্ন করোনা রোগীদের বাঁচাতে ছাড়পত্র টসিলিজুমাব ওষুধকে, করোনা যুদ্ধে এগোল মোদী সরকার

ভ্যাকসিন নেওয়া কেন প্রয়োজন?

চিকিৎসকদের মতে, ভ্যাকসিন মানব শরীরে ইমিউনিটি সিস্টেম বাড়াতে সহায়তা করে। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের ক্ষেত্রে দেশের হাতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন ছিল না।  তবে তৃতীয় তরঙ্গের ক্ষেত্রে ও সেই একই পরিস্থিতি তৈরী হলে তার ছবি দ্বিতীয় তরঙ্গের থেকেও ভয়ঙ্কর হতে পারে। করোনার তৃতীয় ঢেউ আটকাতে ভ্যাকসিন হল অন্যতম একটি মাধ্যম।

ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ না নিলে কী ক্ষতি ?

চিকিৎসকদের মতে, কোভি শিল্ডের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে এই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটি নেওয়ার ৩ সপ্তাহ পর আলফা ও বিটা স্ট্রেন থেকে ৫0-৫৫ শতাংশ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে উঠছে। কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৩০ শতাংশ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখা গিয়েছে প্রায় তিন সপ্তাহ পর। বর্তমানে আলফা ও বিটা স্ট্রেনের থেকে বেশি সমস্যা ডেল্টা ভেরিয়েন্ট নিয়েই। কারণ দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় থেকেই বেশিরভাগ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজটি হয়ে গেলে, আলফা-বিটার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন ৭০ শতাংশ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং ডেল্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে ৬০ শতাংশ। তাই কোনওভাবেই মিস করা যাবে না দ্বিতীয় ডোজ। 

আরও পড়ুন-Coronavirus - বিশ্বে শুরু হয়ে গেল ২ বছরের শিশুদেরও টিকাকরণ, নজির গড়ল এই ল্য়াটিন আমেরিকান দেশ

৩ মাস দ্বিতীয় ডোজ নিলে কি ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে?

প্রথমদিকে দেশে চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিনের যোগান ছিল না। তাই প্রথমে জনসংখ্যার একটা বড় অংশকে ভ্যাকসিন দেওয়ার স্বার্থে দুটি ডোজের মাঝে সময়সীমা ঠিক করা হয় ৩ মাস। কারণ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের প্রভাব থাকে ৩ মাস বা ১২ সপ্তাহ এবং সেই অনুযায়ীই সরকার ঠিক করে ভ্যাকসিনের ২ য় ডোজের সময়। চিকিৎসকদের এক্ষেত্রে ৩ মাস পর ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ায় কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। 

আরও দেখুন-উত্তাল সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার উল্টে বিপত্তি, অল্পের জন্য রক্ষা পেল ৬ মৎস্যজীবী