সংক্ষিপ্ত


বিরাটের সামনে আরও এক বিশ্বরেকর্ডের হাতছানি। ২০০০০ আন্তর্জাতিক রানের থেকে ১০৪ রান পিছনে রয়েছেন। সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে ২০০০০ রান করার রেকর্ড রয়েছে সচিন-লারার। ভারতীয় ক্রিকেটে এই রান রয়েছে দুই জনের।

অবসরের দিন সচিন তেন্ডুলকরকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তাঁর অসামান্য সব রেকর্ড কে ভাঙতে পারেন? মাস্টার ব্লাস্টার বলেছিলেন, দুইজনের কথা - রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। তারপর থেকে প্রায় প্রতিটি সিরিজেই সচিনের কোনও না কোনও রেকর্ড ভাঙা একেবারে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন কোহলি। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্য়াচেও তিনি আরও এক বিশ্বরেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে। যা এখনও পর্যন্ত সচিন তেন্ডুলকরের দখলে রয়েছে।

চলতি বিশ্বকাপে বিরাট যে একেবারে সেরা ফর্মে আছেন তা বলা যাবে না। তবে তার মধ্যেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮২ ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধএ ৭৭ রানের দুটি ইনিংস খেলেছেন তিনি। তবে শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা (২টি) বিশ্বকাপে শতরান করে ফেললেও ভারত অধিনায়ক এখনও বিশ্বকাপে তিন অঙ্কের সংখ্যা ছুঁতে পারেননি। আফগানিস্তান ম্যাচেই তা আসতে পারে। আর তাহলেই বিশ্বরেকর্ডটিও হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

টেস্ট, ওডিআই এবং টি২০ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০০০০০ রান করা থকে আর মাত্র ১০৪ রান দূরে রয়েছেন কোহলি।  একদিনের ক্রিকেটে তাঁর রান ১১০২০, টেস্টে ৬৬১৩ এবং টি২০-তে ২২৬৩। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০০০০ রান করার কীর্তি রয়েছে মোট ১১ জনের। ভারতের মাত্র দুইজন ক্রিকেটারেরই এই রেকর্ড রয়েছে - সচিন তেন্ডুলকর (৩৪,৩৫৭)  ও রাহুল দ্রাবিড় (২৪,২০৮)।

আর ২০০০০ রান করার ক্ষেত্রে দ্রুততম এখনও সচিন তেন্ডুলকর। এই রান করতে তাঁর লেগেছিল ৪৫৩ ইনিংস। একই সংখ্যক ইনিংস নিয়েছিলেন ব্রায়ান লারাও। তাঁদজের থেকে কোহলি কিন্তু এই ব্যাপারে অনেক এগিয়ে আছেন। এখনও পর্যন্ত ১৩১টি টেস্ট, ২২২টি একদিনের ম্যাচ ও ৬২টি টি২০আই ম্যাচে মোট ৪১৫টি ইনিংস খেলেছেন তিনি। অর্থাত, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১০৪ রান করতে পারলে তিনি এই বিষয়েও সচিনকে ছাপিয়ে যাবেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্য়াচে তিনি সচিনকে টপকে একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম ১১০০০ রান করার রেকর্ড করেছিলেন।