সংক্ষিপ্ত

  • বিশ্বকাপ ২০১৯-এর সেমিফাইনালে মুখোমুখি ভারত-নিউজিল্যান্ড
  • এই নিয়ে সপ্তমবার বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলবে ভারত
  • এর আগে ছয়বার সেমিতে উঠে ভারত জয় পেয়েছে ৩টি ম্যাচে
  • অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্যের হার ৫০ শতাংশ

মঙ্গলবার বিশ্বকাপ ২০১৯-এর সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি ভারত। এই নিয়ে সপ্তমবার বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলবে ভারত। এর আগে ছয়বার সেমিতে উঠে ভারত জয় পেয়েছে ৩টি ম্য়াচে। অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্যের হার ৫০ শতাংশ। সপ্তম সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এর আগের ছটি ক্ষেত্রে কি হয়েছিল।

ভারত প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতেছিল ১৯৮৩ সালে। আর সেই বারই প্রথম শেষ চারের ম্য়াচ খেলেছিল কপিল দেবের দল। বিরুদ্ধে ছিল প্রবল পরাক্রমী ইংল্যান্ড। কেউ বারতের পক্ষে বাজি ধরেনি। কিন্তু কীর্তি আজাদ ও মহিন্দর অমরনাথেরক দুর্দান্ত বোলিং-এ ৬০ ওভারে ২১৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড। জবাবে সন্দীপ পাতিলের ঝোড়ে অর্ধশতরানের জোরে সহজেই জয়ের রানটা তুলে দিয়েছিল ভারত।

চার বছর পর ১৯৮৭ সালে দেশের মাটিতে হওয়া বিশ্বকাপে ফের ইংল্যান্ডেরই মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। এই বিশ্বকাপে আবার ফেবারিট ধরা হচ্ছিল ভারতকেই। গাভাস্কার, শ্রীকান্ত, বেঙসরকার, আজহার, সিধু, কপিল, কিরণ মোরে প্রত্যেকেই রানের মধ্যে ছিলেন। কিন্তু প্রথমে ব্যাট করে গ্রাহাম গুচের শতরানে ভর করে ইংল্যান্ড ২৫৪ রান তুলেছিল। এই ম্য়াচেই ভারতের ব্যাটিং চুড়ান্ত ব্যর্থ হয়। ভারত ২১৯ রানেই অলআউট হয়ে যায়। একইসঙ্গে কপিলের নেতৃত্বও খোয়া গিয়েছিল।

এরপর ফের ১৯৯৬ সালে ভারত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল। এইবার সামনে ছিল শ্রীলঙ্কা। ইডেন গার্ডেন্সে জয়সূর্য ও কালুভিথরণাকে দ্রুত আউট করে দিলেও অরবিন্দ ডিসিলভা ও অধিনায়ক রণতুঙ্গা শ্রীলঙ্কার স্কোর ২৫১ রানে পৌঁছে দেয়। ভারত ১ উিকেট হারিয়ে ৯৮ রান তুলে ফেলেছিল। কিন্তু তারপরই সিংহলি স্পিনের মায়াজালে আটকে ভারতের স্কোর ১২০-৮ হয়ে যায়। আর এরপরই মাঠে দর্শকদের অভব্যতায় ম্য়াচ সেখানেই শেষ করে দেওয়া হয়। আম্পায়াররা শ্রীলঙ্কাকে জয়ী ঘোষণা করেন।

এরপর আবার ভারত সেমিফাইনালে উঠেছিল ২০০৩ সালে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারতের সামনে ছিল কেনিয়ার বাধা। ভারত প্রথমে ব্যাট করে ২৭০ রান তুলেছিল। সৌরভ ১১১, ও সচিন ৮৩ রান করেছিলেন। জবাবে জাহির খান, শ্রীনাথ, নেহরাদের আক্রমণের সামনে স্টিভ টিকোলো-এর দল মাত্র ১৭৯ রানেই অলআউট হয়ে যায়।

এরপর আবার ভারত সেমিফাইনাল খেলে দেশের মাঠে ৮ বছর বাদে ২০১১ সালের  বিশ্বকাপে। এবার সামনে ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। ভারত আগে ব্য়াট করে ২৬০ রান তুলেছিল। সচিন ৮৫ রান করেছিলেন। জবাবে ২৩১ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান ইনিংস। একমাত্র মিসবা উল হক ৫৬ রান করেছিলেন। এছাড়া হাফিজ ৪৩ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ধোনির ভারত ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করে কাপ জিতেছিল।

২০১৫ সালে সেমিফাইনালে ভারতের সামনে ছিল অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ওপেন করে ফিঞ্চ করেন ৮১, আর স্টিভ স্মিথ করেছিলেন ১০৫। অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে তুলেছিল ৩২৮ রান। জবাবে ধাওয়ান ৪৫, রাহানে ৪৪, ও ধোনি ৬৫ রান করলেও, ভারত ২৩৩ রানেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল।